PhD is no longer required for the post of Assistant Professor: শিক্ষা মানুষের চরিত্র গঠন করতে সহায়তা করে। আর একজন সৎ ও চরিত্রবান মানুষই সুস্থ সমাজ গড়ে তোলে। এ কারণেই সুশিক্ষার ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের চরিত্র গঠন করতে সহায়তা করে আমাদের শিক্ষাগুরু একারণেই বহু মানুষ এমন রয়েছে যারা শিক্ষকতা তাদের পেশা এবং নেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। সমাজে এখনো শিক্ষকতার পেশাকে যথেষ্ট উচ্চ স্থানে রাখা হয়। এই পেশায় নিযুক্ত হওয়ার জন্য উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখেন শিক্ষক এবং অধ্যাপকেরা। অনেক সময় পিএইচডির মত উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি না পাওয়ার ফলে অধ্যাপকরা মনে করেন তাদের স্বপ্নের অধ্যাপনায় বাধা সৃষ্টি হবে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান করেছেন ইউজিসি (UGC Guideline)।
ইউজিসির চেয়ারম্যান এম.জগদীশ কুমার তার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন ইউজিসি কর্তৃক পরিবর্তিত নিয়মের (UGC Guideline) কথা। এখন থেকে আর বাধ্যতামূলক নয় পিএইচডি সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে। চলতি মাসের প্রথম থেকেই এই পরিবর্তিত নিয়ম কার্যকরী করা হয়েছে।
সহকারি অধ্যাপক পদে আবেদনের যোগ্যতা:
ইউজিসির পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী সহকারি অধ্যাপক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএইচডি ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে বিবেচিত হবে। যে সকল পরীক্ষাগুলি উত্তীর্ণ করলে তবেই সহকারী অধ্যাপক পদের জন্য আবেদন করা যাবে সেগুলি হল
স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (সেট)
ন্যাশানাল এলিজিটিবিলিটি টেস্ট (নেট)
স্টেট লেভেল এলিজিবিলিটি টেস্ট (স্লেট)
উক্ত পরীক্ষাগুলি ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হবে সহকারি অধ্যাপক পদে আবেদনের ক্ষেত্রে।
সহকারি অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে পিএইচডি বাধ্যতামূলক না করার জন্য বহুদিন ধরেই আর্জি জানানো হচ্ছিল। এর কারণ হিসাবে যেগুলি তুলে ধরা হয়েছে সেগুলি হল পিএইচডির পেপার শেষ করতে অনেক ক্ষেত্রেই পাঁচ থেকে ছয় বছর সময় লেগে যায়। সে কারণে উক্ত পদে চাকরি পেতে বহু সময় লেগে যায় প্রার্থীদের। যে কারণে অধ্যাপনায় আসার প্রবণতা দিন দিন লোপ পেতে শুরু করেছিল। যা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য মোটেই কাম্য নয়।
স্থায়ী চাকরি পাওয়াও যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ানোর জন্যই ইউজিসি তার এই নিয়মের (UGC Guideline) পরিবর্তন করে সবদিক বিবেচনা করে। অতএব আগামীতে শুধুমাত্র স্লেট, নেট এবং সেটের পরীক্ষা মাধ্যমেই সহকারি অধ্যাপক পদে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা।