রাতারাতি ৩৮ লাখের মালিক দুই কৃষক! শুধু করেছেন এই একটি কাজ

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : চাষিরা (Farmers) মাথার ঘাম পায়ে ফেলে প্রতিনিয়ত দেশের মানুষদের অন্ন সংস্থান করে যাচ্ছেন। তবে বারবার শোনা যায় চাষিরা এত কষ্ট করেও কিন্তু সঠিকভাবে ফসলের দাম পান না। যে দাম তাদের পাওয়া উচিত সেই দামের তুলনায় তারা অনেক কম দাম পেলেও মাঝে থাকা ফরেরা বিপুল পরিমাণে মুনাফা লুটে নিজেদের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করে চলেছেন। তবে এবার রাতারাতি ২ চাষী ৩৮ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে গেলেন।

Advertisements

রাতারাতি ৩৮ লক্ষ টাকার মালিক হওয়ার সত্যিই আশ্চর্যজনক ঘটনা। তবে এখনকার দিনে রাতারাতি কোটিপতিও হতে দেখা যাচ্ছে মূলত লটারিতে টাকা জিতে। কিন্তু এই যে ২ চাষীর কথা বলা হচ্ছে তারা কিন্তু লটারি টিকিট কেটে বা পুরস্কার জিতে লক্ষ-পতি হননি। তারা রাতারাতি ৩৮ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন ফসল ফলিয়েই। কি এমন চাষ করলেন ওই দুই চাষী যাতে তারা এত টাকা মুনাফা লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন?

Advertisements

কিছুই না, আসলে ওই দুই চাষী চাষ করেছিলেন টমেটো (Tomato)। সম্প্রতি টমেটোর দাম অনেক বেড়ে যাওয়ার ফলে তারা সেই টমেটো বিক্রি করে ৩৮ লক্ষ টাকা নিজেদের পকেটে পুরেছেন। এমন কান্ড ঘটিয়েছেন কর্নাটকের চাষী প্রভাকর গুপ্ত এবং তার ভাই। তাদের এমন কাণ্ডে রীতিমত অবাক দেশ। প্রভাকর গুপ্ত ৪০ বছর ধরে চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত হলে জানা গিয়েছে।

Advertisements

প্রভাকর গুপ্ত এবং তার ভাই সুরেশ গুপ্ত তাদের কাছে থাকা চাষযোগ্য ৪০ একর জমিতে টমেটো চাষ করেছিলেন। খুবই পরিকল্পিতভাবে সঠিকভাবে যত্ন করে এবং সঠিক সার প্রয়োগ করে তারা টমেটো ফলান এবং বর্তমানে টমেটোর দাম আকাশ ছোঁয়া হতেই সেই বিপুল পরিমাণ টমেটো বিক্রি করে ৩৮ লক্ষ টাকা আয় করেছেন তারা।

জানা গিয়েছে, এর আগেও তারা টমেটোর বেশ ভালো দাম পেয়েছিলেন বছর দুয়েক আগে। যখন টমেটোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং সেই সময় ১৫ কেজি টমেটোর এক একটি বাক্স বিক্রি করেছিলেন ৮০০ টাকায়। এই বছর ওই একই টমেটোর এক একটি বাক্সর দাম পেয়েছেন ১৯০০ টাকা। তাদের এইভাবে লক্ষী লাভ দেখে ওই এলাকায় থাকা যে সকল চাষিরা টমেটো চাষ থেকে সরে এসেছিলেন তারা এখন রীতিমত মাথায় হাত দিচ্ছেন।

তবে শুধু প্রভাকর গুপ্ত আর সুরেশ গুপ্ত নন, একইভাবে টমেটো বিক্রি করে বিপুল টাকা অর্জন করেছেন কর্নাটকের আরেক গ্রামের বাসিন্দা ভেঙ্কটরমণ রেড্ডি। তিনি ১৫ কেজির এক একটি টমেটো বাক্স বিক্রি করে পেয়েছেন ২২০০ টাকা। তবে তার জমিতে থাকা টমেটোর পরিমাণ তুলনামূলক কম হওয়ায় তিনি ৩.৩ লক্ষ টাকা রোজগার করতে পেরেছেন।

Advertisements