If your wife have these three qualities, divorce your her: সুখী দাম্পত্য জীবনের আসল রহস্য হলো স্বামী ও স্ত্রীর মনের মিলন। একটি মধুর সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পিছনে থাকে অনেক কারণ। বিবাহ মানে শুধু দুটি মানুষের মিল নয় দুটি পরিবারের মিল। তাই বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীকে বিষয়গুলি ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে। বিবাহিত নারীদের অনেক কাজ বুঝেশুনে করা উচিত। যদি স্ত্রী হয় নরম স্বভাবের তাহলে পুরুষের জীবন মধুর হয়ে ওঠে। তাই তো বলা হয় সংসার সুখী হয় রমণীর গুনে। একজন আদর্শ রমণী পারে পরিবারে মনোরম পরিবেশ বজায় রাখতে। কিন্তু যদি স্ত্রী নির্বাচন সঠিক না হয় তাহলে ভুগতে হয় গোটা পরিবারকে। এমনকি স্বামীর জীবন কখনো সুখের হয় না। প্রাচীন ভারতের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক চাণক্য (Chanakya Neeti) এই বিষয় বহু উপকারী পরামর্শ দিয়েছেন।
শুধু প্রাচীন ভারতে নয় বর্তমান সমাজের জন্যও তার বলে যাওয়া নীতিগুলো (Chanakya Neeti) অক্ষরে অক্ষরে কার্যকরী। তিনি বলে গেছেন যে সব নারীদের মধ্যে ক্ষয়িষ্ণু গুণাবলী রয়েছে তাদের কখনই স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করা উচিত নয়। সংসার সুখের করতে অবশ্যই মহিলাদের ভালো গুণগুলো বিচার করে নিতে হবে। কিভাবে বুঝবেন কোন মহিলা আপনার পরিবারের জন্য উপযুক্ত?
চাণক্য নীতি (Chanakya Neeti) অনুসারে, যেসব মহিলা কোনরকম চিন্তাভাবনা না করে কথা বলেন তাদের কোনোভাবে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করা উচিত না। এদের কথাবার্তার উপরে কখনোই কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। সব সময় গলার স্বর কর্কশ থাকলে তা শুনতে মোটেই ভালো লাগেনা। তারা কখনোই পরিবারের কথা ভাবে না, তাই বেশিরভাগ সময়ই নানা রকম নিয়ন্ত্রণহীন কথাবার্তা বলে। যা সংসারের সুখ শান্তির পক্ষে ক্ষতিকর। এইসব মহিলাদের কোনরকম অনুভূতি কাজ করে না। তাই সুখ শান্তির জন্য এই ধরনের স্ত্রীদের অবশ্যই বর্জন করা উচিত।
রাগ মানুষের সহজাত স্বভাব, কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি অতিরিক্ত মাত্রায় রেগে যান তাহলে তা সংসারের পক্ষে কখনোই শুভ নয়। রাগ যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন আশেপাশের মানুষজনকেও তোয়াক্কা করে না। তাই এরকম স্ত্রীকে অবশ্যই করা উচিত। আচার্য চাণক্য (Chanakya Neeti) মন্তব্য প্রকাশ করেছেন যে, সব সময় নিজের এবং পরিবারের ভালোর জন্য রাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
যে সমস্ত স্ত্রীরা ঘরের পরিবেশ নষ্ট করে তাদের অবশ্যই বর্জন করা উচিত। সংসার ও স্বামীকে তারা কখনো সুখী করতে পারে না। এদের জন্য সাংসারিক জীবনে যে খারাপ প্রভাব পড়ে তা প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলতে থাকে। এই ধরনের মহিলারা নিজেদের সন্তানকেও সঠিক শিক্ষা দিতে পারে না। একজন আদর্শ নারীর সংজ্ঞা হলো যে ধর্ম-কর্ম এবং স্বভাবের দিক থেকে শুদ্ধ হবে। আদর্শ নারীর জন্য সবসময়ই বাড়িতে ইতিবাচক প্রভাব দেখা দেয়। তিনি সংসার ও স্বামীকে সুখে রাখতে জানেন। অল্প টাকায় কিভাবে সংসার চালিয়ে সবাইকে নিয়ে সুখে থাকা যায় তা একজন আদর্শ রমণী জানেন।