Moumita faces a difficult struggle in life after losing her father: নেট দুনিয়ার দৌলতে আজকাল বহু জিনিস মানুষের নজরে আসে। সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষ নিজেদের প্রতিভাকে তুলে ধরে। দূর দূরান্তের খবর তো বতেই, এমনকি ঘরের কাছের অনেক না জানা খবরও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঘরে বসেই মানুষ দেখতে পারে। মাঝে মাঝেই বহু মানুষের সংগ্রামের কাহিনী দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। এই প্রতিবেদনে এমনই এক প্রতিভাবান মেয়ের গল্প শুনবো। যার জীবন সংগ্রামের কাহিনী শুরু হয়েছে বাবাকে হারানোর পর থেকে (Moumita Di)।
হাবড়া রেল স্টেশনে গেলে আপনি দেখতে পাবেন মৌমিতা (Moumita Di) তার বাবার দোকানে কচুরি ভাজছেন। যার মূল্য দুটো দশ টাকা। যদি ভাবেন যে এর স্বাদ কেমন হবে? তবে জেনে নিন একবার খেলে, আরেকবার আপনাকে নিশ্চিত আসতে হবে। লকডাউনের সময় তার বাবা, জ্যেঠুর কাছ থেকে দোকানটা আলাদা করে নেন। মৌমিতার বাবা ছিলেন লিভার সিরোসিস এর রোগী। বাবার মৃত্যুর পর ব্যবসার দায়িত্ব সে নিজের কাঁধে তুলে নেয়। শুধু ব্যবসা নয় দক্ষভাবে সামলাচ্ছেন নিজের পড়াশোনা।
জানেন কি মৌমিতার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে? তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিসট্যান্সে মাস্টার্স করছেন। বাবার হাত ধরেই মৌমিতার (Moumita Di) এই ব্যবসাতে প্রবেশ। বাবা অসুস্থ থাকায় বাবাকে সাহায্য করতে এখানে আসতেন তিনি। সেখান থেকে এই কাজে হাতেখড়ি। গরম কচুরি ও সাথে আলুর তরকারি, এর স্বাদের সত্যি কোনো তুলনা হয় না।
কচুরির দোকানটি আগে যৌথভাবে ছিল মৌমিতার (Moumita Di) বাবা ও জেঠুর। কিন্তু পরে যদিও সেটি আলাদা হয়ে যায়। অনেক গ্রাহক এখনো জানেন না যে দোকানটি আলাদা হয়ে গেছে। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কোন দোকানে সবথেকে ভালো কচুরি পাওয়া যাবে? এর বিচার মৌমিতা দি গ্রাহকদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে। তারা আসুক এবং খেয়ে বলুক কচুরি সম্পর্কে।
হাবড়া স্টেশনের কচুরি কিন্তু বরাবরই খুব জনপ্রিয়। প্রচুর মানুষ নিত্যদিন ভিড় জমায় ওখানে গিয়ে। মৌমিতা দিদির দোকানেও কিন্তু উপচে পড়ে বহু মানুষের ভিড়। কচুরির স্বাদ এতটাই ভালো যে একবার খেলেই তা মুখে লেগে থাকে। ট্রেন ধরতে যাবার সময় কিংবা ট্রেন থেকে নেমে খাওয়া যেতেই পারে এই বিখ্যাত কচুরি।