নিজস্ব প্রতিবেদন : গত শুক্রবার অর্থাৎ ১৪ জুলাই ভারত তৃতীয়বারের জন্য চন্দ্রযান (Chandrayaan 3) উৎক্ষেপণ করে। সফল হবে উৎক্ষেপণের পর এই মুহূর্তে চন্দ্রযান-৩ রয়েছে চাঁদের কক্ষপথে। শুক্রবার সফলভাবে উৎক্ষেপনের পর চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে চন্দ্রযান-৩ এর সময় লাগবে ৪০ দিন। ২৩ আগস্ট চন্দ্রযান ৩ চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার (ISRO) সবচেয়ে কম খরচে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করেছে। যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে তার থেকেও বেশি খরচ হয়ে থাকে একটি হলিউড অথবা দক্ষিণী সিনেমা তৈরি করতে। এত অল্প খরচে মহাকাশে চাঁদের মাটিতে অবতরণ বিশ্বের কাছে নজির তৈরি করা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের এমন সাফল্যে যেমন ভারতীয়রা গর্বিত ঠিক সেই রকমই বিশ্বের মানুষও এমন সফলতার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
চন্দ্রযান-৩ নিয়ে যখন বিশ্বজুড়ে আলোচনা, আলোড়ন তৈরি হয়েছে সেই সময় ভারতের দেখাদেখি পাকিস্তানের তরফ থেকেও নিজেদের ‘চন্দ্রযান’ লঞ্চ করা হলো! পাকিস্তান চন্দ্রযান লঞ্চ করলো অথচ কেউ জানতে পারলেন না? স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি চমকে দিয়েছে সবাইকে। তবে চমকের এখানেই শেষ নয়, চমক লুকিয়ে রয়েছে আরও বড় জায়গায়। কেননা এই সকল বিষয়টি দাবি করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে। আর সেই ভিডিও দেখলে রীতিমতো হেসে গড়াগড়ি দিতে হবে।
মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিওটি আজকের ভিডিও নয়। এই ভিডিওটি বেশ পুরাতন ভিডিও, কিন্তু চন্দ্রযান-৩ লঞ্চ করার পর নতুন করে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে আপলোড করার পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে, ‘ভারতের দেখাদেখি পাকিস্তান চন্দ্রযান লঞ্চ করল।’
আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানের এই মুহূর্তে এই ধরনের কোন পদক্ষেপ নেওয়াটাই অস্বাভাবিক। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি একটি বড় এয়ার বেলুন এবং ওই এয়ার বেলুনটি দেখতে অনেকটা রকেটের মত। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ওই এয়ার বেলুনের নিচে আগুন ধরিয়ে সেটিকে উড়িয়ে দেওয়া হল। বেলুনটি উড়ে যাওয়ার পরই সেখানে উপস্থিত শত শত মানুষের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো লক্ষ্য করা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটিকেই আপলোড করা হয়েছে এবং ব্যঙ্গ করে লেখা হয়েছে ‘পাকিস্তানের চন্দ্রযান’।