নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) নিয়ে দেশের প্রতিটি মানুষের পাশাপাশি বিশ্ব বাসিন্দাদের মধ্যেও কৌতূহলের শেষ নেই। এই মহাকাশযান নিয়ে কৌতুহল এত বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে রয়েছে অনেকগুলি কারণ। প্রথম কারণ হিসাবে বলা যেতে পারে, এত কম খরচে এত বড় অভিযান। দ্বিতীয় কারণ মূলত চন্দ্রযান ২ থেকেই শুরু হয়েছে। কেননা চন্দ্রযান ২ বিফলে যাওয়ার পর অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন, এবারও সফলতা মিলবে কিনা তা নিয়ে। এছাড়াও রয়েছে এই মহাকাশযানের কাজ কি হবে ইত্যাদি।
এতসব কৌতুহলের মধ্যেই শুক্রবার অর্থাৎ ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার (ISRO) চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ করে। সফলভাবে উৎক্ষেপণ হওয়ার পর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময়। ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে যাওয়ার পর আমজনতার মধ্যে কৌতুহল তৈরি হচ্ছে, এখন কি অবস্থায় কোথায় রয়েছে চন্দ্রযানটি!
আমজনতার সেই সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে খোদ ইসরো। এমনকি চন্দ্রযানটির বর্তমান অবস্থান নিয়ে একটি ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি চন্দ্রযানটির স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে সেই সকল বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দেওয়া হয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের তরফ থেকে। ইসরোর তরফ থেকে এই আপডেট দেওয়া হয়েছে ১৫ জুলাই রাত্রি ৯:০৬ মিনিটে।
যেখানে বলা হয়েছে চন্দ্রযানটির স্বাস্থ্য ভালো রয়েছে। প্রথম কক্ষপথ উত্থাপন কৌশল বা আর্থবাউন্ড ফায়ারিং ১ সফলভাবে সঞ্চালিত হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতের চন্দ্রযানটি ৪১৭৬২x১৭৩ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে। ইসরোর তরফ থেকে দেওয়া এই আপডেট থেকে স্পষ্ট, চন্দ্রযান ৩ ধীরে ধীরে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এই সফলতা আসার জন্য এখনো অপেক্ষা করতে হবে অন্ততপক্ষে ৩৮ দিন।
Chandrayaan-3 Mission update:
The spacecraft's health is normal.The first orbit-raising maneuver (Earthbound firing-1) is successfully performed at ISTRAC/ISRO, Bengaluru.
Spacecraft is now in 41762 km x 173 km orbit. pic.twitter.com/4gCcRfmYb4
— ISRO (@isro) July 15, 2023
চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে মহাকাশযান অবতরণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত সফলতা মিলেছে মাত্র বিশ্বের তিনটি দেশের। সেই তিনটি দেশ হলো আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন। এখন যদি ভারত এমন সফলতা অর্জন করতে পারে তাহলে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে জায়গা করে নেবে। এছাড়াও চন্দ্রযান ৩ সফল হলে ভারত ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিও গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাবে।