Accident Prone Highway: এটি এমন একটি এক্সপ্রেসওয়ে, যেখানে ৪ মাসে বলি হয়েছেন ১০০ জন

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

The Bengaluru-Mysuru Expressway has become an accident hotspot: নতুন তৈরি হওয়া বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ে যেন পরিণত হয়েছে এক দুর্ঘটনার মৃত্যুপুরীতে (Accident Prone Highway)। তৈরি হওয়ার চার মাসের মধ্যে ঘটে যাচ্ছে একের পর এক দুর্ঘটনা যার ফলে প্রাণ চলে যাচ্ছে বহু মানুষের। মঙ্গলবার কংগ্রেস সরকার বিধানসভায় জানিয়েছে, ওই এক্সপ্রেসওয়েতে এখন পর্যন্ত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং জখম হয়েছেন ৩৩৫জন। তথ্য অনুসারে যে পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে সেটি হল মার্চ মাস থেকে জুন মাসের পরিসংখ্যান। ধারণা করা হচ্ছে যে, এই এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক ত্রুটি রয়েছে এবং সেই কারণেই হচ্ছে একের পর এক এই দুর্ঘটনা।

Advertisements

এই বিষয়ে কি বলছেন হোম মিনিস্টার জি পরমেশ্বারা? এই এক্সপ্রেসওয়েতে মার্চ মাসে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের এবং জখম হয়েছে ৬৩ জন। এরপর এপ্রিল মাসে ২৩জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং এর পাশাপাশি জখম ব্যক্তিদের সংখ্যা ৮৩জন। মে মাসে মারা গিয়েছিলেন ২৯জন ও ৯৩জন আহত হয়েছিলেন। শেষ পরিসংখ্যান করা হয় জুন মাস অব্দি, সেই জুন মাসের মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮ ও জখমের মোট সংখ্যা হল ৯৬জন। সব মিলিয়ে সরকারি রিপোর্টে ১০০জনের মৃত্যু হয়েছে এই নতুন হাইওয়েতে (Accident Prone Highway)।

Advertisements

নতুন তৈরি এই এক্সপ্রেসওয়েতে কীভাবে বারবার এত দুর্ঘটনা হচ্ছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক সুরেশ কুমার। একের পর এক মানুষের মৃত্যু যেন সারা ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। হোম মিনিস্টারের বক্তব্য এক্সপ্রেসওয়েটিতে হয়তো তৈরি করার সময় ত্রুটি রয়ে গেছে (Accident Prone Highway)। বিরোধী বিধায়ক আবার মন্তব্য প্রকাশ করেছেন যে, সবেমাত্র মার্চ মাসে উদ্বোধন করেই এই এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ১৩২জনের মৃত্যু হয়েছে। হোম মিনিস্টার এই দুর্ঘটনার বিষয়ে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করে বলেছেন যে, এই রাস্তার বাঁকগুলো খুবই বিপদজনক। যার ফলে চালকদের গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে, তারা বারবার দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। রাস্তাতে কোনো সঠিক নির্দেশিকা পর্যন্ত দেওয়া নেই। যখন রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল তখন নিরাপদে ভ্রমণের দিকটা খেয়াল রাখা হয়নি।

Advertisements

নতুন তৈরি এই এক্সপ্রেসওয়েতে প্রয়োজন অতিরিক্ত সুরক্ষা। মন্ত্রী এই বিষয়ে সুপারিশ করেছেন যে, প্রতি ৩০ কিমি অন্তত হাইওয়ে পেট্রলিং গাড়ি একান্ত জরুরী। প্রচন্ড জোরে এই হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি চালানো যাবেনা। এমনকি পথচারীরা এই হাইওয়ে দিয়ে রাস্তা পার হতে পারবেন না সেই বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে হাইওয়ে অথরিটির। রাস্তাতে সতর্কতামূলক চিহ্ন অবশ্যই দেওয়া দরকার এতে দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেকটা কমতে পারে। রাস্তায় আলোর ব্যবস্থাও সেরকম ভালো নেই যার ফলে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে (Accident Prone Highway)।

এই রাস্তার পরিস্থিতি বর্ষায় আরো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, এমনটাই জানিয়েছেন জেডিএস বিধায়ক জিটি দেবেগৌড়া। বর্ষাকালে রাস্তা অতিরিক্ত পিছল হয়ে যায়। এমনকি এই রাস্তার ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ পর্যন্ত করা হয়না। যার ফলে দুর্ঘটনাগুলো এত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে হোম মিনিস্টার জানিয়েছেন, বিষয়টির ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হবে। NHAI-এর কাছ থেকে রাজ্য সরকার সেফটি অডিট রিপোর্টও চেয়েছে বলে খবর।

Advertisements