According to nutritionists, which egg is more beneficial, white or brown: ডিম পছন্দ করে না এমন মানুষ কোথায় পৃথিবীতে নেই। ছোট থেকে বড় সবারই ডিমের প্রতি দুর্বলতা কাজ করে। সেই কারণেই শুধু দেশে নয় বিদেশও ডিমের চাহিদা প্রচুর। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা সেই কারণে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে থাকে। ডিম যথেষ্ট উপকারী খাবার, সস্তায় এর থেকে উপকারী খাবার আর পাওয়া যায় না। ধনী দরিদ্র সবাই সাধ্যমত ডিম কিনতে পারে, সেই কারণে এর গুরুত্ব অপরিসীম। সম্প্রতি বাজারে সাদা ডিমের পাশাপাশি দেখতে পাওয়া যায় বাদামী রঙের ডিম। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ বলছেন যে সাদা ডিমের তুলনায় বাদামী ডিম শরীরের পক্ষে বেশি উপকারী (Nutrient value of egg)। মানুষ এখন রীতিমতো বিড়ম্বনায়। তাই মানুষের মনে ঘুরে বেড়ানো নানা রকম প্রশ্নের সমাধান করবে এই প্রতিবেদন।
জনপ্রিয় পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন যে, সাদা ডিম ও ব্রাউন এগের মধ্যে তেমন কোন তফাত নেই, ব্রাউন এগ শুধুমাত্র আকারে একটু বড় হয়। এই দুই ডিমের মধ্যে আলাদা করে কোন পার্থক্য নেই, দুটোরই পুষ্টিগত গুরুত্ব একই রকম (Nutrient value of egg)। তাই বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে ব্রাউন এগ কিনে টাকা নষ্ট করবেন না। সাদা ডিম খেলে আপনি ঠিক একই রকম পুষ্টি পাবেন।
অনেকের মনেই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে যে দিনে কটা ডিম খেলে মানুষ সুস্থ থাকে? একজন সুস্থ মানুষ দিনে একটা গোটা ডিম স্বাভাবিকভাবেই খেতে পারবেন এবং তাতেই শরীরের সমস্ত ঘাটতি মিটে যাবে (Nutrient value of egg)। কিন্তু আপনার যদি ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, হাই বিপি, হার্টের অসুখের মতো রোগ থাকে তবে গোটা ডিম খাবেন না। এইরকম রোগীদের শুধুমাত্র ডিমের সাদা অংশটাই খাওয়া উচিত। তবে মাসে এক-আধবার ডিমের কুসুম খেলে সেভাবে কোন শারীরিক সমস্যা হয় না।
পুরুষদের থেকেও ৩০ পেরোনো মহিলাদের হাড়ের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এদের অবশ্যই হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। যদি নিয়মিত ডিম খাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই হাড়ের রোগের নিরাময় ঘটবে। জানেন কি ডিমে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। এই উপাদান শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখে। প্রতিদিন ডিম যদি খান অবশ্যই এর ফলাফল হাতেনাতে পাবেন (Nutrient value of egg)।
অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জাগে মুরগির ডিমের রং ব্রাউন হয় কেন? ব্রাউন এগ দেয় এক বিশেষ ধরনের মুরগি এবং ডিমের খোলসের পিগমেনটশন হয় আলাদা। সেই কারণে এর রং হয় বাদামী। এই বিশেষ ধরনের মুরগি প্রতিপালনের খরচাও বেশি এবং সেই কারণে ডিমের দাম অনেকটাই বেশি। ব্রাউন এগে আলাদা করে কোন প্রোটিন নেই। জানেন কি পেশি, চুল, নখ তৈরি থেকে শুরু করে ইমিউনিটি বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন জরুরি উৎসেচক তৈরিতে প্রোটিনের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রোটিনের ঘাটতি মেটানোর জন্য অবশ্যই ডিম খেতে হবে। ২টি ডিম বা ১০০ গ্রাম ডিমে রয়েছে প্রায় ১৩ গ্রাম প্রোটিন। ডিমের প্রোটিন খুবই উৎকৃষ্ট মানের এবং এর বায়োলজিক্যাল ভ্যালুও অনেক।