নিজস্ব প্রতিবেদন : স্কুটার অথবা মোটরবাইক চালক এবং আরোহীদের সবসময় মাথায় হেলমেট (Helmet) পরে রাস্তায় নামতে হয়। মোটর ভেহিকেল (Motor Vehicle Act) নিয়ম অনুসারে এই নিয়ম না মানলে জরিমানা গুনতে হবে আরোহী অথবা চালকদের। আগে এই জরিমানা ছিল ১০০ টাকা বা তার কিছু বেশি, কিন্তু এখন এই জরিমানা করা হয়েছে ১০০০ টাকা। ১০০০ টাকার এই জরিমানাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে হেলমেট বিহীন মোটরবাইক ও স্কুটার চালকদের।
এখন ১ হাজার টাকা জরিমানাতে যখন হিমশিম খেতে হচ্ছে সেই সময় যদি ৪০০০ টাকা জরিমানা করা হয় তাহলে কি পরিস্থিতি হতে পারে টের পাওয়া যায়। হেলমেট না পরলে ৪ হাজার টাকা জরিমানা বিষয়টি অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য হলেও কিন্তু এমনই নতুন নিয়ম চালু হয়ে গেল। আর এই নতুন নিয়ম জারি হতেই বেকায়দায় পড়েছেন সেই সকল মোটরবাইক ও স্কুটি চালকরা যারা হেলমেট পরেন না।
নতুন যে নিয়ম জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, দিনে যতবার হেলমেট ছাড়া ক্যামেরায় ধরা পড়বেন মোটরবাইক অথবা স্কুটার চালকরা ততবার চালান কাটবে পুলিশ। এই নতুন নিয়ম আজব লাগলেও কিন্তু এমনই নিয়ম চালু হয়ে গেল। নতুন এই নিয়ম অনুসারে শুধু ৪০০০ টাকা নয়, বরং যতবার ক্যামেরায় হেলমেট ছাড়া অথবা ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়বেন ততবার ১ হাজার টাকা করে চালান কাটা হবে।
এখন ভাবছেন নতুন এই আজব নিয়ম কোথায় চালু হয়েছে? পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য স্বস্তি এটাই যে এই রাজ্যে এই নিয়ম কোথাও চালু হয়নি। তবে এই নিয়ম চালু হয়েছে পড়শী রাজ্য বিহারের পাটনায়। সেখানকার এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন কমানোর জন্য এমন নির্দেশ দিয়েছেন শহরের এডিজি সুধাংশু কুমার।
তিনি জানিয়েছেন, পাটনার যেখানেই যান না কেন কুটি বা মোটরবাইক নিয়ে যাতায়াত করতে হলে মাথায় হেলমেট থাকতেই হবে। হেলমেট না থাকলে চালান কাটা হবে আর যতবার এই ধরনের নিয়ম লঙ্ঘন ধরা পড়বে ততবার চালান কাটা হবে। সেই চালানের টাকা তিন মাসের মধ্যে জমা দিতে হবে। আর যদি কেউ তিন মাসের মধ্যে সেই টাকা জমা না দেন তাহলে বাইক বিক্রি এবং ইন্সুরেন্সের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।