নিজস্ব প্রতিবেদন : ৩০ বছর ধরে তৃণমূল ২১ জুলাই দিনটিকে শহীদ দিবস (TMC Sahid Diwas) হিসাবে পালন করে আসছে। শাসক হিসেবে তৃণমূল সরকারের আসার পর এই শহীদ দিবস আরও জমজমাট হয়েছে। প্রতিবছর দূর দূরান্ত থেকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা কলকাতার বুকে ছুটে আসেন শহীদ স্মরণের সভায় অংশগ্রহণ করার জন্য। দূর দুরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের জন্য তৃণমূলের তরফ থেকে থাকা খাওয়া সব কিছুরই ব্যবস্থা করা হয়। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, প্রতিবছরই দেখা যায় কর্মী সমর্থকদের জন্য আয়োজিত খাবারের মেনুতে রয়েছে ডিম ভাত। থাকে না মাছ, মাংস এসব কিছু। কিন্তু কেন? কেন তৃণমূলের তরফ থেকে এই মেনুকেই বেছে নেওয়া হয়? এর পিছনে রয়েছে ৭ কারণ। বিশেষজ্ঞরা অন্ততপক্ষে এমনটাই মনে করেন।
১) ডিম সহজ পাচ্য। এটি সহজে হজম হয়। যারা দূর দুরান্ত থেকে তৃণমূলের এই জনসভায় অংশগ্রহণ করতে আসেন তাদের খাবারের জন্য ডিম একেবারেই উপযুক্ত।
২) ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর। ডিমে প্রোটিন থাকে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো।
৩) সভা সমাবেশে অগণিত লোক হয়। এত সংখ্যক মানুষের জন্য সহজে রান্না সম্পন্ন করতে ডিম সবচেয়ে উপযোগী
খাদ্য উপাদান।
৪) ডিম সহজে রান্না হয় বলে ২১ জুলাই ডিমের পদকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়।
৫) একসাথে পাইকারী দরে ডিম কিনলে দাম কম পড়ে। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক ডিম জোগাড় করা অনেক সহজ। ডিম কেনার পর তা দোকান থেকে আনলেই হয়। কাটাকাটির ঝামেলা থাকে না।
৬) মাছ কিংবা মাংস পরিমাণের ঘাটতি মেটাতে পারে না। ডিমের সেই ক্ষমতা আছে। তাই ডিম রাখা হয়।
৭) এছাড়াও মাছ অথবা মাংস ইত্যাদির ক্ষেত্রে খাওয়ার পর অনেক বেশি নোংরা তৈরি হয়। মাছের কাঁটা, মাংসর হাড় ইত্যাদি অনেক বেশি আবর্জনা তৈরি করে। তুলনামূলক ডিম অনেক কম আবর্জনা তৈরি করে। এর ফলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ডিম ভাত অনেক এগিয়ে রয়েছে।