ISRO strongly challenged China and America with nuclear rockets: চন্দ্রযানের পর ইসরোর নজর এখন সৌর অভিযানে। সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, ইসরোর গবেষকরা ব্যস্ত এখন নতুন গবেষণা নিয়ে। এই বিষয়ে তারা ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ সেন্টার (BARC)-এর সঙ্গে একই প্রকল্পে হাত মিলিয়েছে। এই প্রকল্পটির আসল উদ্দ্যেশ্য হলো রকেটের জন্য নিউক্লিয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন তৈরি করা (Nuclear Rocket)। যদি কোনো মহাকাশযানকে সক্রিয় করার চেষ্টা করা হয় কিংবা এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে যাবার জন্য পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন যান অনেক বেশি কার্যকরি ভূমিকা পালন করে।
ভারতের ISRO এবং BARC একসঙ্গে রেডিও থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর তৈরির কাজে যুক্ত হয়েছে। সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, তাদের এই উদ্যোগের ওপর ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গেছে। শীঘ্রই হয়তো এই কাজ শেষের পথে। নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনটির দুটি অংশ থাকছে (Nuclear Rocket)। একটি অংশ তাপ উৎপন্ন করবে এবং অপরটি এই তাপকে ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুতে রূপান্তরিত করবে।
জানা গেছে যে, নাসার কাছে নিউক্লিয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন রকেট(Nuclear Rocket) রয়েছে। পরমাণু বিখণ্ডন রিয়্যাকটক বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে, তবে পরমাণু ইঞ্জিন তা পারে না। এই ধরনের ইঞ্জিনের মধ্যে থাকে রেডিও থার্মো ইলেকট্রিক জেনারেটর বা প্লুটোনিয়াম ২৩৮ এবং এদেরকে পুড়িয়ে হিট তৈরি হয়। যদি এই গবেষণা সফল হয় তাহলে ভারতের মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিক খুলে যাবে।
বর্তমানে চন্দ্র মিশনের পর আরো নানা মহাকাশ গবেষণাগুলির জন্যও তৎপর হয়েছে ইসরো। ‘আদিত্য এল ১’ নামে ইসরোর সৌর মিশন লঞ্চ হতে পারে আগামী ২৬ অগাস্ট। ইসরো ২০২০ সালে সূর্য অভিযানের উদ্যোগ নিলেও করোনা মহামারীর জন্য এই উদ্যোগ পিছিয়ে গিয়েছিল। সূত্র মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, এই অভিযানের ক্ষেত্রেও পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলকে হাতিয়ার করা হবে। সৌরজগত সম্পর্কে যদি আপনি অনুসন্ধান চালাতে চান তার জন্য এই মহাকাশ অভিযান, এমনটাই জানা যাচ্ছে। ইসরোর চন্দ্রযান ৩ ইতিমধ্যেই মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। শ্রীহরিকোটা থেকে ১৪ জুলাই উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এই মহাকাশযান। ইসরোর নতুন চমক অবশ্যই বিজ্ঞানের এক নতুন দিক খুলে দেবে(Nuclear Rocket)।
কবে পৌঁছাবে এই চন্দ্রযান ৩? আগামী ২৩ বা ২৪ অগাস্ট এটি চাঁদে পৌঁছবে সূত্রের মাধ্যমে এমনটাই জানা যাচ্ছে। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ চাঁদে পাড়ি দিলেও তা ব্যর্থ হয়েছিল। সেই মিশনের ব্যর্থতার কারণ পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনা করার পর চন্দ্রযান ৩-র পরিকল্পনা করা হয়। ইসরো চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, চন্দ্রযান ২ মিশনের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা ছিল শেষের দিকে ল্যান্ডার সফল অবতরণে সক্ষম হয়নি। সেই জন্যই এই মিশনটি সফল হতে পারেনি।