Officer arrested for bribery: টাকার লোভ ভয়ঙ্কর! প্রথম পোস্টিংয়েই ঘুষ নিয়ে রেকর্ড গড়লেন এই মহিলা আধিকারিক

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Jharkhand woman officer arrested on first posting; Alleged bribery: সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেবার অভিযোগ নতুন কোন ব্যাপার নয়। পদ যত উচ্চ হবে ঘুষের পরিমাণও হবে তত বেশি। এই কথাটি সত্য প্রমাণিত করলেন ঝাড়খণ্ডের সরকারি আধিকারিক যিনি কিনা একজন মহিলা। চাকরির প্রথমেই ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তিনি। অভিযুক্ত মহিলাটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ঘুষ নেওয়ার ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের কোডারমা জেলায়, ধৃত মহিলা অফিসারের নাম হলো মিতালি শর্মা। তিনি বিগত আট মাস আগে কোডারমার জেলার সহকারী রেজিস্ট্রার (Officer arrested for bribery) হিসেবে যোগ দিয়েছিল।

Advertisements

মিতালি সরকারি আধিকারিক (Officer arrested for bribery) হিসেবে যোগদানের করার কয়েকদিন পর ‘কোডারমা ব্যাপার সহযোগ সমিতি’ নামে একটি সরকারি সংস্থায় পরিদর্শনে গিয়েছিল। পরিদর্শন করতে গিয়ে সংস্থার কাজে বেনিয়ম খুঁজে পায় সে। তিনি এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে কোনরকম কড়া পদক্ষেপ নেবেন না এই শর্তে কুড়ি হাজার টাকা ঘুষ দেবার কথা বলেন।

Advertisements

হাজারিবাগের অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো (ACB)-কে সরকারি আধিকারিকের (Officer arrested for bribery) এইরকম আচরণের খবর লিখিতভাবে জানান সংস্থার এক সদস্য। এই মহিলা আধিকারিক এর বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্ত। তদন্তকারীরা জানতে পারে যে, মিতালির বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ পুরোপুরি সত্য। পরে সরকারি ওই আধিকারিককে হাতেনাতে ধরার জন্য ফাঁদ পাতেন অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোর কর্তারা।

Advertisements

সরকারি আধিকারিক (Officer arrested for bribery) মিতালি শর্মাকে চলতি মাসের ৭ তারিখে ‘কোডারমা ব্যাপার সহযোগ সমিতি’-র তরফ থেকে ঘুষের প্রথম কিস্তির ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। অন্যদিকে সম্পূর্ণভাবে তৈরি ছিলেন অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোর কর্মীরাও। ঘুষ নেওয়ার সময় মিতালিকে গ্রেফতার করা হয় এবং নিয়ে যাওয়া হয় হাজারিবাগে। ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে তদন্ত করছে অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো। সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ব্যাপকভাবে। একজন সরকারি আধিকারিক এর এরকম আচরণ সত্যি খুব নিন্দনীয়। ওই মহিলা আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই প্রসঙ্গে আরো বলা যায় যে, গত জুন মাসে আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির কোনো রকম সঙ্গতি না থাকার কারণে ওড়িশার এক সরকারি আধিকারিককে গ্রেফতার করেছিল ভিজিল্যান্স। ওই সরকারি আধিকারিক এর নাম ছিল প্রশান্ত কুমার রাউত, যার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। আসলে ওই ব্যক্তিটি ওড়িশার নবরংপুরে অতিরিক্ত সাব কালেক্টর পদে কর্মরত ছিল। যখন ওনার বাড়িতে তল্লাশি চলছিল সেই সময় তার স্ত্রী প্রতিবেশী একজনের বাড়ির টাকা ভর্তি একটি বস্তা ছুঁড়ে ফেলেছিল। নগদ টাকা ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন শোনাও খুঁজে পায় ভিজিল্যান্স অফিসাররা।

Advertisements