নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত একটি এমন দেশ যেখানে বিশ্বের সব জায়গার বৈচিত্র দেখতে পাওয়া যায়। যে কারণে ভারতকে উপমহাদেশ বলা হয়। তবে এই উপমহাদেশের এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেগুলি আজও বহু মানুষের কাছে অজানা। সেরকমই ভারতে এমন একটি অজানা এবং অবাক করা গ্রাম রয়েছে যার কাহিনী শুনলে রীতিমতো চমকে যেতে হয়। কেননা এই গ্রামে বিদেশ থেকে মহিলারা আসেন এখানকার পুরুষদের সঙ্গে সহবাস করতে। সহবাস করে তারা যখন গর্ভবতী (Pregnant) হন, তখন তারা আবার ফিরে যান নিজেদের দেশে।
ভারতে এমন কোন গ্রাম রয়েছে? সেই গ্রামের নাম কি? এসব জানার আগে প্রথমেই জেনে নেওয়া দরকার এর পিছনে কি কারণ রয়েছে। ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট (Alexander the Great) যখন ভারতে পরাজিত হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন সেই সময় তার সেনাবাহিনীর কয়েকজন সৈনিক আর ফিরে না গিয়ে ওই গ্রামে থাকা শুরু করে দেন। ওই এলাকার পরে নাম হয় আরিয়ান ভ্যালি বা আর্য গ্রাম। এই গ্রামে যারা বসবাস শুরু করেন তারা ব্রোকোপা উপজাতির সদস্য হিসাবে বিবেচিত হতেন এবং তারা আলেকজান্ডার সেনাবাহিনীর বংশধর হিসাবে বিবেচিত হন।
আলেকজান্ডারের সেনাবাহিনীর সৈনিকরা ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী। তাদের ছিল দীর্ঘাকায়, পুরুষালী চেহারা এবং নীল রঙের চোখ। ইউরোপের মহিলারা এইরকম সন্তান লাভের আশাতেই ভারতের এই গ্রামে আসেন এবং সেখানে পুরুষদের সঙ্গে সহবাস করে গর্ভবতী হন। গর্ভবতী হওয়ার পর তারা ফের নিজেদের দেশে ফিরে যান। তাদের বিশ্বাস, এখানকার পুরুষদের সঙ্গে সহবাস করে গর্ভবতী হলে তাদের সন্তানরা হবে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট-এর মত।
ভারতের এই গ্রামে ইউরোপের মহিলারা এসে সহবাস এবং গর্ভবতী হওয়ার জন্য এখানকার পুরুষদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে থাকেন। যদিও বর্তমানে একটি এক প্রকার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। দাবি করা হয়, আজও এই আর্য এলাকায় ২০০০ এর বেশি আর্য উপজাতির মানুষ বসবাস করে থাকেন। এখানকার মানুষের পোশাক আশাকও আলাদা এবং তারা পুরুষ মহিলা উভয়েই রঙিন ও আলাদা ধরনের পোশাক পরেন।
ভারতের অন্য বিশেষত্ব বহন করা এই আর্য উপত্যকাটি রয়েছে লাদাখে। কারগিল থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম অবস্থিত। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে যখন সব জায়গায় আধুনিকতার ছোঁয়া পৌঁছে গিয়েছে তখনও লাদাখের এই আর্য উপত্যকায় আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়া পৌঁছায়নি।