A matter of pride for India; The impression of Ashoka Stambh is going to Imprint on the moon: ভারতীয়দের জন্য ঘটনাটি সত্যি গর্বের। চাঁদের বুকে পড়তে চলেছে অশোক স্তম্ভের ছাপ (Imprint of National Emblem)। কিন্তু অবাক হয়ে যাবেন শুনলে যে কোনও রবার স্ট্যাপ ব্যবহার করছে না ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো। আসলে রোভার ‘প্রজ্ঞান’-ই পৃথিবীর উপগ্রহটির বুকে এঁকে দেবে ভারত সরকারের এই প্রতীক চিহ্ন। কীভাবে এই অসম্ভব কাজকে সম্ভব হচ্ছে ভারতীয় গবেষণা সংস্থা? প্রতিবেদনে সেটাই আলোচনা করা হবে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ১৪ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার চন্দ্রযান-৩ মিশন শুরু হয়েছে। এর আগে অবশ্য ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ মিশন ব্যর্থ হয়েছিল। কি কারনে ব্যর্থ হয় গতবারের মিশন? চন্দ্রপৃষ্ঠে কাঙ্খিত সফট ল্যান্ডিংয়ের জন্যই ব্যর্থ হয় চন্দ্রযান-২। গতবারের সেই মিশনের ফলোআপ মিশন হলো চন্দ্রযান-৩। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল চন্দ্রযান-৩ কে প্রথমে চাঁদের পৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করানো। এরপর রোভারটিকে চাঁদের পৃষ্ঠে স্থাপন করবে এবং সেই রোভারটিই ঘুরে বেড়াবে চাঁদের বুকে (Imprint of National Emblem)। তারপর শুরু হবে যাবতীয় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার। এই মহাকাশযানটি ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণ করবে।
এই চন্দ্রযান-৩ আছে ছয় চাকার একটি ল্যান্ডার ও রোভার মডিউল। চাঁদের পৃষ্ঠ এর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের জন্য এতে রয়েছে একাধিক পেলোড। রোভারটির আসল কাজ কি শুধুই চন্দ্রপৃষ্ঠে তথ্য সংগ্রহের করা? না সেরকম নয়। ‘প্রজ্ঞান’ রোভারটির পিছনের চাকায় রয়েছে ইসরোর ছাপ সমন্বিত ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোক চক্রের প্রতীক। চাঁদের পিঠে যখনই কাজ চালাবে রোভারটি, তখনই তার চাকায় থাকা প্রতিকৃতির ছাপ পড়ে যাবে চাঁদের বুকে। এই বিষয়টি ভারতীয়দের কাছে সত্যিই গর্বের চেয়ে ভারতের উপস্থিতির ছাপ চাঁদের বুকে রয়ে যাবে। কিভাবে হবে এইসব কাজ? চাঁদের বুকে কিভাবে ছাপ পড়বে দেশের জাতীয় প্রতীকের (Imprint of National Emblem)? দেশের আপামর জনগণ যাতে এই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকতে পারে তার জন্য ইসরোর ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হবে।
চন্দ্রযান ২ মিশনের সময়ে ইসরোর ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিল দেশের জনগণের জন্য। এবারও ঠিক একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের জনগণকে এই আশ্চর্য কাজটি দেখানোর জন্য (Imprint of National Emblem)। যে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে তাতে ল্যান্ডারের অ্যানিমেটড অবদানের চিত্র দেখা যাচ্ছে।
দেখা যাচ্ছে ল্যান্ডারের চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের পর তার ভিতর থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে রোভারটি। এর দুটো দিকে তিনটি তিনটি করে ছয়টি চাকা রয়েছে। এমনকি শক্তি উৎপাদনের জন্য রয়েছে সোলার প্যানেল। বামদিক ও ডান দিকে রয়েছে নেভিগেশন ক্যামেরা। এছাড়া সোলার প্যানেলের মাথায় রয়েছে দুটো ট্রান্সমিট অ্যান্টেনা। চাঁদ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ১৯ সাল শুরু করবে এই রোভারটি।