Many people of other religions come to worship at this male river in India: ভারতীয় হিন্দু ধর্ম মানুষকে শেখায় অন্যকে সম্মান জানাতে। এমনকি নদী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্বত, গাছ, পশু, বিদ্যুৎ, বাতাসকেও সম্মান জানাতে শেখায়। হিন্দুধর্ম অনুসারে প্রকৃতিকে এক অন্য আসনে বসানো হয়। অবশ্যই সেই তালিকায় থাকে নদীও। নদীর প্রাকৃতিক গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতীয় হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, নদীকে সাধারণত দেবী হিসেবে পূজা করা হয়, যেমন ভারতীয়রা গঙ্গা থেকে সরস্বতী সমস্ত নদীকেই দেবী রূপে পূজা করে আসছে। কিন্তু পুরুষ নদী (Male River) ভারতে একটাই আছে, জানেন সেটি কি?
নদীকে সবাই দেবীরূপে পুজো করে সেটা তো সবাই জানে কিন্তু দেবরূপে পূজিত হয়ার কথা আপনি কখনও শুনেছেন কি? এই দেশে রয়েছে একটি ‘পুরুষ নদী’ (Male River) যার নাম হলো ব্রহ্মপুত্র নদ। যেহেতু এটি পুরুষ নদী তাই একে নদ নামেই সবাই চেনে। আজকে এই প্রতিবেদনে পুরুষ নদী ও তার আসল রহস্য সম্পর্কে জানা যাবে।
কোথা থেকে এই ব্রহ্মপুত্র নদের (Male River) উৎপত্তি হয়েছে? এই নদীটি হিমালয়ের উত্তরে তিব্বতের পুরং জেলার মানসরোবর হ্রদের কাছ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। ভাববেন না যে এই নদীটি শুধু ভারতেই অবস্থিত, এটি অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যে প্রবেশ করে অসম উপত্যকায় প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদ কিন্তু ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। এর দৈর্ঘ্য হলো প্রায় ২৭০০ কিলোমিটার।
ব্রহ্মপুত্র নদ ভারতের একমাত্র পুরুষ নদী (Male River)। ব্রহ্মপুত্র এর আরেক নাম হলো ভগবান ব্রহ্মার পুত্র। নদীটি শুধুমাত্র যে হিন্দুদের কাছেই পবিত্র তা নয়, এটি বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের লোকেদের কাছেও সমান পূজিত হয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা অবশ্যই বিশ্বাস করেন যে, ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি হয়েছে চ্যাং থাং মালভূমির এক বিশাল হ্রদ থেকে। আবার সনাতন ধর্মের লোকেরা বিশ্বাস করেন যে, ব্রহ্মপুত্র নদ ব্রহ্মার পুত্র, সেই কারণে হিন্দুদের মধ্যে এই নদীটির গুরুত্ব রয়েছে। হিন্দুধর্মে ব্রহ্মপুত্র নদকে ঈশ্বর ও অলৌকিক শক্তির প্রতীক মনে করা হয়।
হিন্দুরা পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী, ভক্তদের প্রথমে পুষ্করে ব্রহ্মা মন্দির দর্শন করতে হবে তারপরে ভক্তদের ব্রহ্মপুত্র নদীতে স্নান করতে হবে। এটি করতে পারলে অনেক উপকার হবে বলেও বিশ্বাস আছে। এতে যেকোন প্রকার ব্রহ্ম দোষ দুর হয় এবং শারীরিক রোগ মুক্ত হয় বলে প্রচলিত। বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে, এই নদীটি আগে একটি বড় হ্রদ ছিল। কিন্তু বোধিসত্ত্ব মনে করেছিলেন যে এই হ্রদের জল হিমালয়ের পাদদেশে পৌঁছানো উচিত। এরফলে মানুষের মধ্যে জলের চাহিদা পূরণ হবে। তাই এই হ্রদ থেকে জল নিষ্কাশনের জন্য একটি চ্যানেল তৈরি করা হয়েছিল, এবং যার থেকেই এই নদীর জন্ম হয়। এইভাবে এটি ব্রহ্মপুত্র নদ নামে জনপ্রিয় হয়।