নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশ জুলাইয়ের শহীদ স্মরণ (TMC Sahid Diwas) রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের কাছে এক আলাদা মঞ্চ। যেদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড় হয় ধর্মতলায়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা এই সকল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের আপ্যায়নে যাতে কোনরকম খামতি না থাকে তার জন্য শাসক দলের তরফ থেকে সব রকম বন্দোবস্ত করা হয়। দূরদূরান্ত থেকে আসা কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকে।
তৃণমূলের তরফ থেকে শহীদ স্মরণে আসা কর্মী সমর্থকদের জন্য একদিন আগে থেকেই খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। এছাড়াও শহীদ স্মরণের দিন দুপুরে থাকে ডিম ভাত। যদিও এই বছর শুধু ডিম ভাত নয়, এর পাশাপাশি সয়াবিন তরকারি ইত্যাদিও যোগ করা হয়েছিল। এখন প্রশ্ন হল এই লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে কত টাকা খসলো তৃণমূলের?
এই বছর শহীদ দিবসের আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ৮০ হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক কলকাতায় চলে এসেছিলেন। এই সকল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার কর্মী সমর্থক সল্টলেক বইমেলা প্রাঙ্গণের চারটি জায়গা ছাড়াও সেন্ট্রাল পার্ক, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ এবং ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ছিলেন। তাদের প্রাতঃরাশ, দুপুরের খাবার রাতের খাবার এবং ছোটদের জন্য আলাদা করে দুধের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এই বছর ২১ জুলাই উপলক্ষে তৃণমূলের তরফ থেকে যে সকল জায়গায় খাবারের ক্যাম্প করা হয়েছিল সেগুলিতে প্রাতঃরাশে ছিল লুচি, আলুর দম অথবা মুড়ি ঘুগনি। দুপুর এবং রাতে যে খাবার দেওয়া হয়েছিল তাতে ছিল ভাত, ডাল, পাঁচ মেশালী সবজি বা সোয়াবিন তরকারি এবং ডিমের ঝোল। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থকরা শিয়ালদা ও ধর্মতলার একাধিক হোটেল ও গেস্ট হাউসে নিজের খরচায় কাটিয়েছেন।
এখন খরচ হিসাবে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, দলের তরফ থেকে ১৬০ কুইন্টাল চাল এবং ৩ লক্ষ ২ হাজারটি ডিমের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এছাড়াও অন্যান্য শাক সবজির আয়োজন তো ছিলই। যদিও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি এই ডিম কেবল একটি দুটি ক্যাম্পের জন্য নাকি সবার জন্য কেনা হয়। এক্ষেত্রে যদি ডিমের সর্বনিম্ন দাম ৬ টাকা ধরা হয় তাহলে খরচ হচ্ছে ১৮ লক্ষ টাকার বেশি। চালের দাম যদি সর্বনিম্ন ৩৮০০ টাকার কুইন্টাল ধরা হয় তাহলে খরচ হচ্ছে ৬ লক্ষ টাকার বেশি। তবে খরচ যাই হোক না কেন, এবারের একুশে জুলাইয়ের ভিড় অনেক বেশি খুশি করেছে দলীয় নেতৃত্বকে।