ভারতের দেখাদেখি এবার চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠাবে বাংলাদেশ! গড়তে চলেছে ইতিহাস

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো (ISRO) ইতিমধ্যেই তিন তিনবার চাঁদে অভিযান করল। এই তিনবারের চন্দ্রাভিযানের মধ্যে প্রথম দুবার পুরোপুরি ভাবে অভিযান সফল না হলেও আংশিকভাবে সেই অভিযান সফল হয়েছে। এখন চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) অর্থাৎ তৃতীয় অভিযানের দিকে তাকিয়ে ভারত সহ বিশ্ব। কেননা এই অভিযান সফল হলে ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের বহু দেশ উপকৃত হবে।

Advertisements

অন্যদিকে ভারতের দেখাদেখি চীন মহাকাশ অভিযানে নতুন দিগন্ত আনার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানকে নিয়ে নানান ধরনের মিম বয়ে গেছে। কিন্তু এসবের মাঝেই নতুন দিগন্ত দেখাতে চলেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। তাদের তরফ থেকে এবার ইতিহাস তৈরি করে চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠাবে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চাঁদের স্যাটেলাইট পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বাংলাদেশের জন্য প্রথম।

Advertisements

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যদি সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালেই চাঁদে পা রাখবে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট। এর পাশাপাশি এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম গভীর মহাকাশ মিশন। এছাড়াও এটি কোন স্যাটেলাইট হতে চলেছে যেটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশে অ্যাসেম্বলিং এবং প্রোগ্রাম করা হবে। চাঁদে প্রথম যে স্যাটেলাইট বাংলাদেশ পাঠাতে চলেছে তার নাম হবে ‘ফেমটো’।

Advertisements

বাংলাদেশ যে স্যাটেলাইট চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সেটি আকারে অনেক ছোট এবং এটি অনায়াসে চাঁদের আশপাশ পরিভ্রমণ করে তথ্য সংগ্রহ করবে। সেই তথ্য তারা পাঠাবে নাসাকে (NASA) এবং নাসা সেই তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণা করে দেখবে চাঁদে মানুষ বসবাস করার উপযুক্ত কিনা। মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এই প্রথম এত গভীর মিশনে অংশগ্রহণ করতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের এই মিশন যদি সফল হয় তাহলে বাংলাদেশের কাছে তা বিরাট সাফল্যের বিষয়।

মূলত চাঁদ নিয়ে গবেষণার জন্য, বিশেষ করে চাঁদে মানুষ বসবাস করার উপযোগী কিনা তা দেখার জন্য স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ করবে এমন ২২ টি দেশকে বেছে নিয়েছে নাসা। এই ২২ টি দেশের মধ্যে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অনেকগুলি টিমের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে শেষমেষ বেছে নেওয়া হয়েছে এজেন্সি টু ইনোভেট-এর ফেমটো স্যাটেলাইটকে। এই স্যাটেলাইটটি চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছর জানুয়ারির দিকেই চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। এই স্যাটেলাইট তৈরি করার কাজ করা হচ্ছে নাসার সহযোগিতায় ৫০ জনের একটি দলের তরফ থেকে। এই স্যাটেলাইট একেবারে ছোট এবং আধুনিক, যার ওজন ২০ গ্রামেরও কম।

Advertisements