New attraction of Tajpur beach for tourists: বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার প্রধান তিনটি জায়গা হল দীপুদা অর্থাৎ দীঘা, পুরী এবং দার্জিলিং। এরমধ্যে দীঘা হল বাঙালির এক্কেবারে হাতের নাগালের পর্যটন কেন্দ্র। জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে সবাই চায় অল্পদিনের জন্য হলেও কোথাও সময় কাটিয়ে আসতে। অল্প সময়ে এবং স্বল্প খরচে ঘুরতে যেতে চাইলে দীঘার থেকে ভালো বিকল্প আর হয় না। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মন্দারমনি এবং তাজপুরের (Tajpur Beach) মতো জায়গাগুলো। অফবিট জায়গা হিসেবে আগে পরিচিত থাকলেও এখন পর্যটকদের ব্যাপক আনাগোনা দেখা যায় এইসব জায়গায়।
দীঘার তুলনায় এই বিচগুলো অপেক্ষাকৃত নির্জন এবং শান্ত। তবে পর্যটকরা আজকাল কোন জায়গাই বাদ দেয় না, তাই হু হু করে বাড়ছে এইসব জায়গার ভিড়। তবে সম্প্রতি পর্যটকটরা ভিড় জমাচ্ছে তাজপুরের (Tajpur Beach) লাইট হাউসে। পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য এটিও এক নতুন সৃষ্টি। এটি অবস্থিত তাজপুরের দিঘা-শৌলা মেরিন ড্রাইভ রাস্তার পাশে। জঙ্গল ধরে এগিয়ে গেলেই দেখতে পাবেন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে লাইট হাউসটি। আর এই লাইট হাউস থেকে সামান্য দূরেই অবস্থিত সমুদ্র।
স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে দূরের পর্যটকরা সাধারণত তাজপুরে (Tajpur Beach) সময় কাটাতে যান দু-তিন দিনের জন্য। এখানে সমুদ্র দর্শন এবং বিশ্ববাংলা পার্ক ছাড়া দেখার সেরকম বিশেষ কিছু নেই। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে লাইটহাউস হলো পর্যটকদের কাছে একটি বাড়তি পাওনা। পর্যটকরা লাইটহাউসে উঠে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারেন। পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এটিকে বেশ ভালোভাবে সাজানো হয়েছে। শুধুমাত্র দূরের পর্যটকরাই নন স্থানীয় মানুষরা এই জায়গায় গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আসতে পারেন।
স্থানীয় মানুষেরা মনে করছেন যে, পর্যটন শিল্পে গতি আনতে এই লাইট হাউসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেসব পর্যটকরা তাজপুরে (Tajpur Beach) ঘুরতে আসছেন তারা সুযোগ পেলেই চলে যাচ্ছেন এই লাইট হাউসে। লাইট হাউসের ওপর থেকে তাজপুর বিচ এবং আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যাবে পর্যটকরা।
ভাবছেন হয়তো এর জন্য খসতে পারে বেশ কিছু টাকা? কথাটি কিন্তু একেবারে সত্যি নয়। এত কিছু দেখার মূল্য শুধুমাত্র ১০ টাকা। আবার রাত্রিবেলায় লাইট হাউসে জ্বলে উঠবে লাইট, যা পরিবেশকে আরো মায়াবী করে তুলবে। লাইট হাউজের সৌন্দর্য আরো বাড়ানোর জন্য এর সংলগ্ন অঞ্চলে তৈরি করা হচ্ছে একটি পার্ক। কলকাতার একটি ঠিকাদারি সংস্থা এই কাজটি করছে এবং এর পেছনে খরচ হবে কোটি টাকার কাছাকাছি।