নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল (Indian Railways) ভারতীয় নাগরিকদের কাছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড। প্রতিদিন ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ ট্রেনের ওপর নির্ভর করে যাতায়াত করেন। আর এই সকল যাত্রীদের আরও ভালো পরিষেবা দেওয়ার জন্য রেলের তরফ থেকে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় (Amrit Bharat Station Scheme) একের পর এক স্টেশন সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দেশের ১৩০৯টি স্টেশন সাজানো হবে। পশ্চিমবঙ্গে ৩৭টি রেলস্টেশন সাজানোর কাজ হবে।
দেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনকে আধুনিক থেকে আধুনিকতর করে তোলার জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। পশ্চিমবঙ্গে যে সকল রেলস্টেশন সাজিয়ে তোলার জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে সেই তালিকায় রয়েছে ৩৭টি রেলস্টেশন। এই ৩৭টি রেলস্টেশনের জন্য মোট টাকার পরিমাণ বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫০৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে আবার আসানসোল রেলস্টেশন পাচ্ছে ৪৩১ কোটি টাকা।
রেলের তরফ থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে তালিকায় থাকা ৩৭টি রেলস্টেশনকে নতুন রূপ দেওয়া হবে। এর জন্য স্টেশনের প্রতীক্ষালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় আনা হবে পরিবর্তন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধার জন্য লিফট থেকে শুরু করে এক্সকেলিটর সহ অন্যান্য ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের যে ৩৭টি রেলস্টেশন নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেই সকল স্টেশনের পরিকাঠামোগত দিকেও পরিবর্তন করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গের ৩৭টি রেল স্টেশনের মধ্যে কোন স্টেশন কত টাকা পেল : আসানসোল ৪৩১ কোটি টাকা, বর্ধমান ৬৪.২ কোটি টাকা, কাটোয়া ৩৩.৬ কোটি টাকা, পাণ্ডবেশ্বর ২১ কোটি টাকা, অন্ডাল ২০ কোটি টাকা, রামপুরহাট ৩৮.৬ কোটি টাকা, বোলপুর শান্তিনিকেতন ২১.১ কোটি টাকা, শেওড়াফুলি ৩১.১ কোটি টাকা, অম্বিকা কালনা ২৯.২ কোটি টাকা, তারকেশ্বর ২৪.৪ কোটি টাকা, বারাকপুর ২৬.৭ কোটি টাকা, চাঁদপাড়া ২৩.২ কোটি টাকা, শান্তিপুর ২৩ কোটি টাকা, নবদ্বীপ ধাম ২১.৮ কোটি টাকা, কৃষ্ণনগর সিটি ২৯.৬ কোটি টাকা।
বেথুয়াডহরি ২৮.৭ কোটি টাকা, শিয়ালদাহ ২৭ কোটি টাকা, মালদা টাউন ৪৩ কোটি টাকা, নিউ ফারাক্কা ৩১ কোটি টাকা, বহরমপুর কোর্ট ২৯.৮ কোটি টাকা, আজিমগঞ্জ ৩১.২ কোটি টাকা, নিউ আলিপুরদুয়ার জংশন ৩৬.৩ কোটি টাকা, দলগাঁও ৩৪.৪ কোটি টাকা, ফালাকাটা ৩৩.৩ কোটি টাকা, দিনহাটা ৩১.৭ কোটি টাকা, ডালখোলা ২৯.৯ কোটি টাকা, কালিয়াগঞ্জ ২৪.৯ কোটি টাকা, আলুয়াবাড়ি রোড ২৪.৯ কোটি টাকা, ধুপগুড়ি ৩৪.২ কোটি টাকা, জলপাইগুড়ি রোড ৩৩.৮ কোটি টাকা, বিন্নাগুড়ি ৩১.৭ কোটি টাকা, নিউ মাল জংশন ৩১.১ কোটি টাকা, হাসিমারা ৩০.৫ কোটি টাকা, কামাখ্যাগুড়ি ২৯.২ কোটি টাকা, জলপাইগুড়ি ২৫.৫ কোটি টাকা, হলদিবাড়ি ২১.৩ কোটি টাকা এবং সামসি ২২.৫ কোটি টাকা।