নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রশাসনিক সুবিধা থেকে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা যাতে আরও বেশি করে বাসিন্দারা পেয়ে থাকেন তার জন্য বড় বড় জেলা (District) ভেঙ্গে ছোট করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে রাজ্য সরকার। ২০১১ সাল থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্প্রতি ২০২২ সালের ১ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) বেশ কয়েকটি বড় জেলা ভেঙ্গে নতুন সাতটি জেলা গঠনের ঘোষণা করেন।
২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যে সকল জেলা গঠন করার ঘোষণা করেন সেগুলি হল সুন্দরবন, ইছামতি, রানাঘাট, বিষ্ণুপুর, জঙ্গিপুর, বহরমপুর-কান্দি এবং বসিরহাট। এই সকল জেলা গঠনের কাজ সম্পূর্ণ হতে না হতে ফের নতুন করে ৬টি বড় জেলা ভেঙ্গে নতুন আরও একাধিক জেলা গঠনের জল্পনা তৈরি হলো। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রশাসনিক কাজে গতি আনতে এবং মানুষের কাছে আরও দ্রুত প্রশাসনিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই সকল জেলা ভেঙ্গে নতুন জেলা গঠন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় অভিজ্ঞ মন্ত্রী এবং আমলাদের উপস্থিতি ছিল বলে জানা যাচ্ছে। তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা ভাগ করা নিয়ে যে কমিটি গঠন করেছেন সেই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এর পাশাপাশি আছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা। আছেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব সচিব। এই কমিটিকে তিনমাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এখন যে সকল জেলা ভেঙ্গে নতুন জেলা গঠন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে তালিকায় প্রথমেই রয়েছে বীরভূম এবং পুরুলিয়া। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরকে ভেঙ্গে নতুন জেলা ঝাড়গ্রাম তৈরি করার পর ফের ভাঙ্গার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নতুন জেলা হতে পারে ঘাটাল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকেও ভেঙ্গে আরও একটি জেলা তৈরি করার চিন্তা ভাবনা চলছে। এছাড়াও দার্জিলিংকে আরও একবার ভেঙ্গে নতুন জেলা তৈরি করা হতে পারে। অন্যদিকে বড় জেলা হিসাবে মালদাকে ভাঙার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।