নিজস্ব প্রতিবেদন : একেবারে বদলে যেতে পারে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা (Education System of West Bengal)। খোলনলচে এই শিক্ষাব্যবস্থায় আসতে পারে পরিবর্তন। নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে তাতে এমনই সব পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন এই সকল পরিবর্তন সব পক্ষের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নতুন শিক্ষানীতিতে পরিবর্তন এনে দেবে অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পঠন পাঠনের বিভিন্ন দিক। অষ্টম শ্রেণী থেকেই চালু হতে পারে সেমিস্টার, আবার দ্বাদশ শ্রেণীতে mcq যুক্ত হতে পারে। অন্যদিকে রাজ্যে কেন্দ্র সরকারের শিক্ষা নীতি অর্থাৎ জাতীয় শিক্ষানীতির মানা হবে না তা আগেই জানানো হয়েছিল। এমনটা জানিয়েছিলেন খোদ শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
জাতীয় শিক্ষানীতি মানা না হলে রাজ্যের শিক্ষা নীতি কেমন হবে এই নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই চলছিল ব্যাপক জল্পনা। অবশেষে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের নতুন শিক্ষানীতির অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। প্রাক প্রাথমিক থেকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষানীতি কেমন হবে তার ধারণা মিলল রাজ্য সরকারের নতুন পরিকল্পনা থেকে।
নতুন শিক্ষানীতিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি স্কুলে বাংলা ভাষাকে পড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একেবারে প্রথম শ্রেণী থেকে যাতে বাংলা ভাষা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তার দিকে জোর দেবে রাজ্য সরকার। আর এইজন্য রাজ্যের যে সকল ইংরাজী মাধ্যম অথবা অন্য কোন মাধ্যমের স্কুল রয়েছে সেগুলিতেও বাংলা ভাষা পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হবে।
এর পাশাপাশি নতুন শিক্ষানীতিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এমসিকিউ ধরনের প্রশ্ন আসবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণী থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করার বিষয়ে মত প্রকাশ করেছে শিক্ষা দপ্তর। এমন সুপারিশ করা হয়েছে নতুন শিক্ষানীতি পর্যালোচনাকারী কমিটিও। নতুন শিক্ষানীতির ফলে সিলেবাসের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন পরিবর্তন আসবে। এই সকল পরিবর্তন আসবে প্রাথমিক উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে। যদিও এই সকল একাধিক পরিবর্তন এখনই দুম করে চালু করবে না শিক্ষা দপ্তর। তিন বছরে ধাপে ধাপে এই সকল ব্যবস্থা চালু করা হবে।