Smart didi Nandini: নিজের দোষে হাত পোড়ালো, দোকানে গালাগালি কর্মচারীকে নন্দিনী দিদির

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

Smart didi Nandini abused the store employee: আজকাল প্রায় খবরের শিরোনামে দেখা যাচ্ছে নন্দিনী দিদিকে (Smart didi Nandini)। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। নিজের দোকানের এক কর্মীকে বাজে ভাষায় গালাগাল দিচ্ছেন স্মার্ট দিদি। নেট দুনিয়ার দৌলতে তিনি আজ এত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। আসলে ডালহৌসির অফিস পাড়ার একটি পাইস হোটেল চালান তিনি। দিদির জনপ্রিয়তা ছাপিয়ে গেছে বিভিন্ন স্টারদেরকেও। এবার প্রকাশ্যে আসলো তার একটি ভিডিও। দোকানের কর্মীকে ‘অসবাধান’ হওয়ায় গালাগালি করতে দেখা গেছে তাকে, সেই তিনি আবার রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেললেন।

Advertisements

সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে অসাবধানতার জন্য একটু বেশি আগুন ধরেছে উনুনে। সেই উনুনে তেল ভর্তি কড়াই চাপিয়ে দেয় কর্মী। তাতেই রেগে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে দিদি (Smart didi Nandini) বলেন, আগুনের সামনে রয়েছে একটা গাধার বাচ্চা। ওর জন্য দোকান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আশ্চর্যের বিষয় কর্মীকে জানোয়ারের বাচ্চা বলেছেন তিনি। তার মুখের এই ভাষা ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি।

Advertisements

এবারের ভিডিওতে নন্দিনী দিদির অসাবধানতার দৃশ্যই ফুটে উঠলো। তেল ভর্তি করাই উনুনে বসানো আর তাতে মাছ ছাড়তে গিয়ে গরম তেল ছিটে এসে লাগে হাতে। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে রাস্তায় বসে পড়েন তিনি (Smart didi Nandini)। ভিডিও সামনে আসতেই কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে ভিডিওটিতে। একজন বলেছেন, নিজের অসাবধানতার জন্যই এই কাণ্ড। অপরজন একজন মন্তব্য করেছে, রান্নার থেকে ক্যামেরার দিকে মন বেশি হওয়ার জন্যই এরকম হয়েছে। আরেকজন বলেছে, নন্দিনী দিদি কয়েকদিন আগে দোকানের কর্মচারীকে গালাগালি দিচ্ছিল। রান্না করতে গেলে এই ধরনের ঘটনা তো স্বাভাবিক।

Advertisements

স্মার্ট দিদি নন্দিনী কিন্তু বর্তমানে একজন ইউটিউবারও। বাবা-মার পাশে থেকে হোটেল চালানোর পাশাপাশি ‘নন্দিনী দিদি অফিসিয়াল’ নামে নিজের ইউটিউব চ্যানেলেও যথেষ্ট সক্রিয় তিনি। ফলোয়ারদের সংখ্যা নেহাতই কম না। ইতিমধ্যে দিদি নং ১ গিয়েও বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন নন্দিনী ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায় (Smart didi Nandini)। ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ার পর তিনি চাকরি করতেন বেঙ্গালুরুর এক হোটেলে। নোটবন্দির সময় বাবার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি মায়ের গয়না, বাড়ি সবই বিক্রি করে দিতে হয় টাকার জন্য।নন্দিনীর বাবা নাকি সেইসময় ডালহৌসিতে গিয়ে ২০০ টাকা রোজে চাকরি করছিল। নন্দিনীও চলে যান রাজ্যের বাইরে চাকরি করতে।

তারপর একপ্রকার বাধ্য হয়ে চক্রধারীবাবু অফিস পাড়ায় এক চিলতে দোকান খোলেন। স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে সামলাচ্ছিলেন এই ছোট্ট দোকান। তবে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন নন্দিনীর মা বীনা। চাকরি ছেড়ে নন্দিনীকে কলকাতায় চলে আসতে হয়। তারপর আর ফেরেননি কাজের জায়গায়। বাবার স্বপ্নকেই আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন তিনি। এখন ডালাহৌসির ফুটপাথে তিনি দোকান চালান। তবে ভাগ্যের ফেরে আজ তার প্রতিটা পদক্ষেপই ভাইরাল হচ্ছে।

Advertisements