Father’s old passbook made this son a millionaire: প্রত্যেকটা মানুষই স্বপ্ন দেখে লটারি পাওয়ার। কেউ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে আবার কেউ দেখে জেগে। যদি বিনা পরিশ্রমে টাকা পাওয়া যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। একবারে হাতে যখন অনেকগুলি টাকা আসবে জীবনের সব সমস্যার অবসান ঘটবে। এই ব্যক্তিটি অবশ্য সেরকম কিছুই ভাবেন নি; তাহলে কিভাবে হলেন তিনি কোটিপতি (Millionaire)? ব্যক্তিটির সাথে ঘটে গেছে এক আশ্চর্য ঘটনা যা হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও।
ঘটনাটি ঘটেছে চিলিতে, এক্সাকুইল হিনজোসার হলো সেখানকার অধিবাসী। তার জীবনেই ঘটে গেছে এক অদ্ভুত কাণ্ড যা অবাক করে দেবে আপনাকে। আসলে বাবার মৃত্যুর পর তার পুরনো জিনিস পরিষ্কার করছিলেন তিনি। তখনই খুঁজে পান বাবার পুরনো পাসবই। হিনজোসার জানতেন না তার বাবার অ্যাকাউন্টে এত টাকা ছিল। তিনি বইটিকে পরিত্যক্ত হিসেবে ফেলে রেখেছিলেন কিন্তু তার চোখে পড়ে যায় পাসবই-এর প্রথম পাতা। ভালোভাবে দেখার পরই তিনি বুঝতে পারেন পাসবইটি আসলে গুপ্তধন। এই বই তাঁর কাছে গুপ্তধনের সমান। কারণ অবশ্যই সেখানে যে টাকাটা লেখা ছিল তার জীবন পাল্টে দেবার জন্য যথেষ্ট। আজকের প্রতিবেদনে জানা যাবে তার কোটিপতি (Millionaire) হবার গল্প।
আসলে পাসবইটি ছিল চিলির এক রাষ্ট্রায়ত্ত বাঙ্কের। সেই ব্যাংকেই কিছু টাকা জমা রেখেছিলেন হিনজোসারের বাবা। টাকা জমানোর পর কেটে গিয়েছে প্রায় ৫০ বছর। সেই টাকার মূল্য বেড়ে এখন হয়েছে কয়েক গুণ বেশি। পরবর্তীকালে হিনজোসা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ব্যাঙ্কটির কোনও অস্তিত্ব বর্তমানে নেই। তাহলে এই বিশাল অঙ্কের টাকার কি হবে? সবটাই কি তাহলে ব্যর্থ?
অবশেষে কাজে আসে ব্যাঙ্কের পাসবইটি, সেটি ছিল তার কোটিপতি (Millionaire) হবার চাবিকাঠি। হিনজোসার চোখে পড়ে যায় বইয়ের ভিতর স্পষ্ট করে লেখা আছে, ‘স্টেট গ্যারান্টিড’। অর্থাৎ যদি কোনো কারণে ব্যাঙ্ক ব্যর্থ হয় টাকা দেবে সরকার। তিনি হিসাব করেছিলেন কমপক্ষে কয়েক লক্ষ টাকা তিনি পাবেন। কিন্তু ব্যাঙ্কের হিসাবে সুদের পরিমাণ কত পাওয়া যাবে সেটা ঠিকমতো জানতেন না হিনজোসার।
ভালো অংকের টাকা পাবেন ভেবেই পাসবই নিয়ে সরাসরি সরকারি দপ্তরে চলে যান তিনি। তবে সরকার সেই টাকা দিতে চায়নি, বাধ্য হয়েই তাকে মামলা করতে হয়। আদালতেই সুবিচার পায় তিনি। সরকারি দপ্তরকে সাফ নির্দেশ দেওয়া হয়, হিনজোসারকে সব টাকা সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার। টাকার অঙ্ক শুনে চক্ষু চড়কগাছ হয় হিনজোসারের। অবশেষে তিনি জানতে পারেন, সুদ সমেত ১০ কোটি টাকারও (Millionaire) বেশি ফেরত পেতে চলেছেন তিনি। এই নির্দেশ অমান্য করতে পারবেনা সরকার। তাই সরকারের তরফে সেই টাকা হিনজোসারকে ফেরতও দিয়ে দেওয়া হয়। কখন যে কার ভাগ্যে কি নতুন চমক দেখা দেবে তা কেউ বলতে পারে না।