Kachuripana industry is going to start soon in the state under the initiative of the Chief Minister: কচুরিপানা দিয়ে কোনোদিনও যে শিল্প (Kachuripana Industry) হতে পারে সেটা স্বপ্নেও ভাবেনি অনেকে। কচুরিপানা শিল্পে কচুরিপানা দিয়ে কি কি তৈরি হতে পারে? কচুরিপানা শুকিয়ে খাবারের থালা, বাজারের থলি, এবং ব্যাগ ইত্যাদি জিনিস তৈরি হয়ে থাকে। মুখ্যমন্ত্রীকে এর আগেও বলতে শোনা গেছে কাশফুলের শিল্প সম্পর্কে। খড়্গপুরের সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে তিনি বলেছেন যে, কাশফুল থেকে লেপ ও বালিশ তৈরি হতে পারে। সেরকমই মুখ্যমন্ত্রীর নয়া চিন্তাভাবনা হল কচুরিপানা শিল্পকেন্দ্র।
রাজ্য সরকার সর্বদাই চেষ্টা করছে এই নতুন চিন্তা ভাবনা কচুরিপানা শিল্পকেন্দ্রকে (Kachuripana Industry) প্রতিষ্ঠা করতে। এই শিল্পকেন্দ্র গড়ে তোলার তোড়জোড় কিন্তু শুরু হয়ে গেছে এবং ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে কোথায় গড়ে উঠবে এই শিল্পকেন্দ্র। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর ১ ব্লকের সমুদ্রগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তুলসীডাঙ্গাতে এই শিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠবে বলে ঠিক করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের ক্যাবিনেট সদস্য স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে, কচুরিপানা শিল্পের জন্য রাজ্য সরকার এরইমধ্যে অনুদান দিয়েছে ৪৮ লক্ষ টাকা।
কচুরিপানা শিল্পকেন্দ্রের জন্য যে জায়গাটি চিহ্নিত করা হয়েছে খাদি বোর্ডের আধিকারিক মানস গোস্বামী সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা জায়গাটি শুক্রবার ভালোভাবে পরিদর্শন করে যান। জায়গাটি ভালোভাবে ঘুরে দেখার পর আলোচনা করা হয় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এর সাথেও। রাজ্য সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো কচুরিপানা শিল্পকেন্দ্রের (Kachuripana Industry) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া। আশা করা যাচ্ছে তৈরি হতে পারে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, এমনকি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মুখ্যমন্ত্রীর কচুরিপানা শিল্পকেন্দ্রের (Kachuripana Industry) প্রতিষ্ঠার কথা প্রকাশ্যে আনার আগেই এলাকার এক যুবক এই শিল্পটিকে রপ্ত করার চেষ্টা করেছেন, নাম হল রাজু বাগ। পুকুর, ডোবা, খাল, বিল প্রভৃতি জায়গা থেকে কচুরিপানা তুলে নিয়ে এসে ঘর সাজানোর বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করছেন এই ব্যক্তি। শিল্পটিকে আরো উন্নত করার উদ্দেশ্যে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এলাকার গৃহবধূদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এবার নতুন করে শুরু হতে চলেছে কচুরিপানা শিল্পকেন্দ্র। খুব শিগগিরই এই অঞ্চলে তৈরি হবে এই শিল্প কেন্দ্র, এমনকি সরকারকে এর জন্য জমিও দান করা হয়ে গেছে। শিল্পকেন্দ্রটি গড়ে তোলার জন্য সরকার ইতিমধ্যে অনুদানও দিয়ে দিয়েছে। প্রথমে তৈরি হবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তারপর কাঁচামাল রাখার জায়গা, প্রোডাকশন এবং বিপণন কেন্দ্র সবটাই এখানে তৈরি হবে। মন্ত্রীর উদ্যোগে হয়তো চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে পারে এই শিল্পকেন্দ্রের।