নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এই বছর প্রবল বৃষ্টির (Rain) মুখোমুখি হলেও দক্ষিণবঙ্গের খরা কিন্তু কাটেনি। বর্ষা শেষ হতে গেলেও এখনো দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। এই বিপুল পরিমাণ বৃষ্টির ঘাটতির ফলে চাষাবাদ নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। মাঝে মাঝে বৃষ্টি নিয়ে আশার আলো দেখাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) তৈরি হওয়া একের পর এক ঘূর্ণাবর্ত। ঠিক সেই রকমই নতুন একটি ঘূর্ণাবর্তের চোখ রাঙানিতে আবহাওয়ায় আমূল পরিবর্তন আসবে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বলে জানানো হচ্ছে।
ফের তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণাবর্তের ফলে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস (IMD)। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে মৌসুমী অক্ষরেখা গোরক্ষপুর ও ভাগলপুর থেকে মালদা হয়ে পূর্ব দিকে মনিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আবার সিকিম থেকে একটি অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
এরই সঙ্গে সঙ্গে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। এর ফলে বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় আমূল পরিবর্তন আসবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই।
বাংলাদেশের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের কারণে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গের যে সকল জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সেই সকল জেলাগুলি হল দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি। এছাড়াও হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আজ অর্থাৎ সোমবার থেকেই দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টি দেখা যেতে পারে।