নিজস্ব প্রতিবেদন : কাঠ কয়লার বদলে এখন দেশের প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই জায়গা করে নিয়েছে রান্নার গ্যাস (LPG)। এর ফলে রান্না করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পান গৃহবধূরা। যে কারণে দিন দিন রান্নায় গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেলেও এর ব্যবহারে কোথাও কমতি নেই। তবে এরই মধ্যে আবার একটি ভালো খবর হলো, সিলিন্ডারের পরিবর্তে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে রান্নার গ্যাস। ইতিমধ্যেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, তবে তারই মধ্যে আবার রাজ্যের একটি শহরে প্রথম এমন পরিসেবা শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে।
পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার পরিষেবা শুরু হওয়ার কথা বলা হলে অধিকাংশ মানুষই ভাবতে পারেন কলকাতা অথবা পার্শ্ববর্তী কোন জায়গায় হয়তো এই পরিষেবা প্রথম শুরু হবে। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ এমন একটি জেলার এমন একটি শহরে এই পরিষেবা প্রথম চালু হতে চলেছে যা রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের কাছেই কল্পনাতীত। তবে ওই শহরের বাসিন্দাদের কাছে এই খবর সত্যিই সুখবর।
কেননা পাইপ লাইনের মাধ্যমে রান্নার গ্যাস সরবরাহ অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা যেমন দিয়ে থাকে গৃহস্থালিদের ঠিক সেরকমই আবার সুরক্ষার দিক দিয়েও তা অনেক বেশি সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থায় হঠাৎ রান্নার গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না, রান্নার গ্যাস শেষ হলে কষ্ট করে সিলিন্ডার পরিবর্তন করার ঝুঁকি থাকে না। ঝুঁকি থাকে না সিলিন্ডার দুর্ঘটনার মত কোন ঘটনার। এছাড়াও এই ধরনের পরিষেবা চালু হলে খরচ অনেক কমে যায়।
রাজ্যে প্রথম এমন পরিসেবা চালু হতে চলেছে রাজার শহর কোচবিহারে। এমনটাই সুখবর দেওয়া হয়েছে কোচবিহার মিউনিসিপ্যালিটির তরফ থেকে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এমন প্রজেক্টের কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য ইতিমধ্যেই একটি সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
কোচবিহার শহরের ২০টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারাই এমন সুবিধা পাবেন। সবকটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেবে পাইপলাইন। এর জন্য ইতিমধ্যেই একটি সংস্থার তরফ থেকে সমীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে সমীক্ষায় যা উঠে এসেছে তাতে ১০ হাজারেরও বেশি বাড়িতে এমন সংযোগ দেওয়া হবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য মোট ১০৪ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইলেকট্রিক অথবা জলের জন্য যে মাসিক বিল দিতে হয় ঠিক সেই রকমই এই রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রেও মাসিক বিল দিতে হবে।