যাদবপুরে কি কি হয়? এবার ফাঁস করলেন ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া’র অরিত্র

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয় হল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি (Jadavpur University)। এই ইউনিভার্সিটি থেকে প্রতিবছর এমন সব শিক্ষিত পড়ুয়ারা নজির তৈরি করেন যা দেশ এবং বিশ্বের সামনে বাংলাকে গর্বিত করে। তবে সাম্প্রতিককালে বেশকিছু ঘটনা যাদবপুর ইউনিভার্সিটির এই গর্ব খর্ব করছে। এই সকল অভিযোগের মধ্যেই নতুন করে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির গর্ব খর্ব হয়েছে প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর (Swapnadeep Kundu) মৃত্যুতে। তার এই মৃত্যুর ঘটনায় ইউনিভার্সিটিতে দাদাদের দাদাগিরি থেকে শুরু করে র‍্যাগিং নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে।

Advertisements

দেশের নামকরা এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থা নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষরা নানান প্রশ্ন তুলছেন। স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর মৃত্যু নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা বাংলা ঠিক সেই সময় মুখ খুলতে ছাড়লেন না এই ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী অরিত্র দত্ত বণিক (Aritra Dutta Banik)। এই অরিত্র যাকে আমরা সবাই চিরদিনই তুমি যে আমার, চ্যালেঞ্জ, খোকাবাবু সহ বিভিন্ন সিনেমাতে শিশু শিল্পী হিসাবে দেখে আসছি। অরিত্র দত্ত বণিক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পড়ুয়া ছিলেন এবং তিনি স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর মৃত্যুর ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কি কি হয় তা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন।

Advertisements

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার সুবাদে অরিত্রর বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অনেক ধারণা রয়েছে। শুধু ধারণা নয়, বিভিন্ন ধরনের ঘটনার তিনি সাক্ষীও। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই অরিত্র সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছেন, ইউনিভার্সিটিতে সময়ে ক্লাস হয় না, অধ্যাপকরা সময়ে ক্লাসে আসেন না। এমনকি তার অভিযোগ, সিলেবাস শেষ করা হয় না ও পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেও থাকে নানান ধরনের অব্যবস্থা। আর এই সকল ঘটনার প্রতিবাদ করতে ভয় পান ছাত্ররা, কারণ তাদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হবে।

Advertisements

অরিত্র নিজে একজন কলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন এবং সে তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগে কোন ক্যাম্পাসিং হয় না। এছাড়াও তিনি অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। কারণ তিনি দাবি করেছেন, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর অথবা প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকা থেকে আসা, পড়ুয়াদের চরম হেনস্থা করা হয়। বাংলা মিডিয়ামের পড়ুয়াদের অপমান করা হয়।

অপমানের প্রসঙ্গ তুলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বাংলা মিডিয়ামের পড়ুয়াদের বলা হয় ‘তোমরা সাধারণ চাকরি করো’, আর কনভেন্টের ছেলেমেয়েদের বলা হয় ‘তোমরা গবেষণা করো’। এর পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন পড়াশোনা শেষ করার পরেও ৪-৫ বছর ধরে প্রাক্তনীরা ইউনিভার্সিটির মধ্যে দাদাগিরি দেখাবেন? সুপারিনটেন্ট কেন এই বিষয়ে নজর দেন না? এছাড়াও রাজনৈতিক চাপের বিষয়েও অরিত্র নানান ধরনের প্রশ্ন তুলেছেন।

Advertisements