Bhagavad Geeta: অনিয়ন্ত্রিত রাগ বিপদে ফেলছে, বাঁচতে চাইলে মেনে চলুন শ্রীমদভগবদ্ গীতার এই সকল বাণী

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Control the uncontrollable anger of life to avoid danger: শ্রীমদভগবদ্ গীতায় (Bhagavad Geeta) জীবনকে সঠিক দিকে চালানোর পথ বলে দেওয়া আছে। পাশাপাশি আপনি নিজের মন ও ইন্দ্রিয়কে কিভাবে নিজের বশে রাখতে পারবেন সেই উপদেশ দেওয়া আছে গীতায়। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে মার্গদর্শন করিয়েছেন গীতার দ্বিতীয় অধ্যায় এ। মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের কথা সবাই জানে। সেখানে অর্জুন যখন চোখের সামনে নিজের আত্মীয় পরিজন এবং গুরুজনদের দেখতে পান, এমনকি তাঁদের বিরুদ্ধে তাকে অস্ত্র ধরতে হবে বলে শোকবিহ্বল হয়ে পড়েন। অর্জুন নিজের বান্ধব কৃষ্ণের কাছে শোক নিবৃত্তির পথ জানতে চান। নানা উপায়ের মাধ্যমে তিনি শোক নিবৃতির উপায় বলে দেন, যা বিস্তারিতভাবে লেখা আছে গীতায়।

Advertisements

গীতার(Bhagavad Geeta)দ্বিতীয় অধ্যায়েরই ৬৩ নম্বর শ্লোকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধ থেকে কী কী হতে পারে তাঁর বর্ণনা করেছেন। অনেকেই হয়তো শ্লোকটি জানেন: ক্রোধাদ্ভবতি সম্মোহঃ সম্মোহাৎ স্মৃতিবিভ্রমঃ।
স্মৃতিভ্রংশাদ্ বুদ্ধিনাশো বুদ্ধিনাশাৎ প্রণশ্যতি।। ৬৩

Advertisements

এর অর্থ কি আপনি বুঝতে পেরেছেন? শ্লোকটি বিশ্লেষণ আপনি পেয়ে যাবেন গীতায়। শ্রীমদভগবদ্ গীতা (Bhagavad Geeta) অনুসারে অর্থ, ক্রোধ থেকে মূঢ়ভাব উৎপন্ন হয়, মূঢ়ভাব থেকে স্মৃতিভ্রংশ হয়, স্মৃতিভ্রংশে বুদ্ধিনাশ বা জ্ঞানশক্তির নাশ হয় এবং বুদ্ধিনাশ হলে সেই ব্যক্তি নিজ স্থিতি থেকে পতিত হয়।

Advertisements

অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধ জীবনে নিয়ে আসে মূঢ়ভাব। অর্থাৎ মানুষ অতিরিক্ত রাগে জ্ঞানবুদ্ধিহীন হয়ে পড়ে। যখনই একজনের মনে ক্রোধ চেপে বসে, সে তা কোনদিনও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। নিজের বিবেকবুদ্ধিও লোপ পায় তাহলে। সেই কঠিন অবস্থায় কোনো কাজের প্রতি তার নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। কোন কাজের ফলাফল কি হতে পারে তা মাথায় থাকে না মানুষের। মানুষের যখন ক্রোধ চেপে বসে সে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়, যাকে গীতার (Bhagavad Geeta) ভাষায় বলে স্মরণশক্তি ভ্রমিত হওয়া। নিজের অস্বাভাবিক আচরনের কারণ সে বুঝতে পারেনা। রাগকে নিয়ন্ত্রন করে জীবনকে গুছিয়ে নিতে হবে। নিজের ব্যবহারে আনতে হবে সংযম।

যখন কোন মানুষের স্মৃতি বিভ্রম ঘটে তখন তার কর্তব্যবোধ সম্পর্কে কোন রকম জ্ঞান থাকে না। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে যাকে বলে বুদ্ধিনাশ হওয়া। প্রয়োজনীয় জিনিসটুকু মানুষ ভুলে যায় এবং খারাপ আচরণের মাত্রা বাড়তে থাকে। আচরণে দেখা যায় কটুতা, কঠোরতা এবং হিংসাভাব। সেই সময় মানুষের জীবনের ছন্দপতন ঘটে যায়। এই আচরণ মানুষকে নরক যাত্রার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। গীতায় একেই বুদ্ধিনাশ থেকে পতনের কথা বলা হয়েছে। অবশ্যই মন সহ সমস্ত ইন্দ্রিয়াগুলিকে বশে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। একজন স্থিতপ্রজ্ঞ মানুষের আচরণ কেমন হওয়া দরকার তাও তিনি বুঝিয়ে বলেছেন গীতায়।

Advertisements