নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) যে সকল সমুদ্র সৈকত রয়েছে তার মধ্যে এখন অন্যতম একটি সমুদ্র সৈকত হলো তাজপুর (Tajpur)। দীঘা (Digha), মন্দারমনি (Mandarmani) ছাড়াও এখন তাজপুরে দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের ভিড় জমছে। তবে এসবের মধ্যেই এবার তাজপুর নিয়ে নতুন সুখবর মিললো। আর সেই সুখবরে ভাগ্য ফিরবে হাজার হাজার যুবক যুবতীদের।
তাজপুরের ভাগ্য ফেরাতে আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) তরফ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ এই টাকা দিয়ে এখানে তৈরি করা হবে গভীর সমুদ্র বন্দর। ইতিমধ্যেই এই বন্দর তৈরি করার জন্য আদানি গোষ্ঠীর তরফ থেকে পরিবেশ সংক্রান্ত সমীক্ষা চালাতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। আদানি গোষ্ঠীর বন্দর ব্যবসার সিইও সুব্রত ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, এবারের বর্ষাতেই পরিবেশ সংক্রান্ত এই সমীক্ষার কাজ শুরু করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করার জন্য আগামী গোষ্ঠী এখন লেটার অফ এগ্রিমেন্ট অর্থাৎ দুপক্ষের মধ্যে চুক্তির কাগজ পেতে অপেক্ষায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং অন্যান্য পক্ষের ছাড়পত্র পেলেই এই লেটার অফ এগ্রিমেন্ট আদানি গোষ্ঠীকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দিয়ে দেওয়া হবে। লেটার অফ এগ্রিমেন্ট পেলেই আদানি গোষ্ঠী শুরু করে দেবে তাদের কাজের জন্য সমীক্ষা।
তাজপুরে এমন গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি হওয়া মানে রাজ্য সরকারের কাছে আলাদা এক মাইলেজ। কেননা এই বন্দর তৈরি হলে তৃণমূল সরকারের শিল্প বিরোধী যে তকমা রয়েছে তা অনেকটাই উঠে যাবে। এছাড়াও হাজার হাজার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান ঘটবে। তাজপুর সমুদ্র বন্দর নিয়ে এমন বিভিন্ন দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেউ করতে দেখা গিয়েছে।
ইন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট সামনে আসার পর যখন আদানের সাম্রাজ্যে একের পর এক ধস নামছে সেই সময় তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির স্বপ্ন চুরমার হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই ধাক্কা সামলে এখন ধীরে ধীরে আগের জায়গায় ফেরার চেষ্টা করছে আদানি গোষ্ঠী। আর এমন পরিস্থিতিতেই সিইও সুব্রত ত্রিপাঠী আত্মবিশ্বাসের সুরে জানিয়েছেন, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করার জন্য যে টাকার প্রয়োজন তা আলাদা করে রাখা রয়েছে।