নিজস্ব প্রতিবেদন : আইন ব্যবস্থাকে রক্ষা করা, সামাজিক পরিস্থিতি শান্ত রাখা ইত্যাদি দায়িত্ব হলো পুলিশের (Police)। তবে এইসব কাজ করতে গিয়ে বহু জায়গাতেই দেখা যায় পুলিশ নিজেই আক্রান্ত হচ্ছে। বহু জায়গাতেই দেখা যায় দুষ্কৃতীদের ধরতে গিয়ে পুলিশকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেতে হচ্ছে, আবার আন্দোলন বিক্ষোভের ক্ষেত্রেও অসহায় অবস্থায় কাটাতে হচ্ছে পুলিশকে। এই সকল পরিস্থিতি থেকে এবার রেহাই পেতে থানায় থানায় চালু করা হবে ‘পাগলা ঘন্টি’।
মূলত বড় কোন গোলমালের খবর এলেই থানায় থানায় এই পাগলা ঘন্টি বাঁচতে থাকবে। বহুক্ষেত্রেই দেখা যায় কোন বড় ধরনের গন্ডগোল হলে একসঙ্গে একগুচ্ছ পুলিশকে জড়ো করতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। অথবা আপাতকালীন কোন সমস্যা বা বন্দি পালানোর ঘটনাতেও নানান সমস্যা দেখা যায়। সেই সকল সমস্যা থেকে রক্ষা করবে এই পাগলা ঘন্টি। ওই শব্দ শুনেই সজাগ হয়ে যাবেন পুলিশ কর্মী থেকে শুরু করে জেল কর্মী এবং আধিকারিকরা।
লালবাজারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই পাগলা ঘন্টি কোন বড় ধরনের ঘটনা ঘটলে একসঙ্গে অনেক পুলিশ কর্মী এবং আধিকারিকদের জড়ো করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও থানায় একসঙ্গে অনেক উত্তেজিত জনতা ঢুকে পড়লে সে ক্ষেত্রেও এই পাগলা ঘন্টি সতর্ক করবে এবং পুলিশ কর্মীরা ঘটনা সম্পর্কে টের পাবেন। আপাতত কলকাতার থানাগুলিতে এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পাগলা ঘন্টি আসলে একটি হুটার বা সাইরেন। যেটি থানার কোন দেওয়াল অথবা এমন জায়গায় লাগানো হবে যে তার আওয়াজ সব জায়গায় পৌঁছে যাবে। জায়গা নির্ধারণের জন্য ইতিমধ্যেই সমীক্ষা শুরু হয়েছে। সেইমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এক একটি পাগলা ঘন্টি লাগানোর জন্য ২৫ হাজার টাকা করে খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে।
এমনিতে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ জোগাড় করার জন্য বার্তা পাঠাতে হয়। বার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেকটা সময় বিলম্বিত হয়ে যায়। কিন্তু এবার এই পাগলা ঘন্টির ব্যবস্থা হয়ে গেলে ওসি অথবা আইসির নির্দেশে তা বাজতে শুরু করবে এবং সহজেই অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা টের পাবেন কিছু ঘটেছে। পাগলা ঘন্টি বাজলেই সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট করে দেওয়া একটি জায়গায় হাজির হতে হবে পুলিশ কর্মী এবং আধিকারিকদের।