This is the last tea stall in the country, but there is a queue to drink tea: ভারতের শেষ সীমান্তে চা খেতে যাবার অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই অন্যরকম হবে। যেতে চান নাকি সেরকম একটি জায়গায়? অনেকেই হয়তো ভাবছেন ভারতের শেষ সীমান্তে চায়ের দোকান ঠিক কোথায় অবস্থিত। উত্তর নাকি দক্ষিণ, নাকি পূর্ব বা পশ্চিমের গ্রামের কথা বলা হচ্ছে এখানে। কিছুই তো স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না তাহলে ভারতের এই শেষ সীমান্তটা ঠিক কোন দিকে? আসলে এটি হল উত্তরাখণ্ডের মানা গ্রাম। স্থানীয় ভাষায় ‘মানা গাঁও’ বলা হয়ে থাকে। গ্রামটির শেষ সীমানায় একটি চায়ের দোকান আছে সেটি ভারতের শেষ সীমানার চায়ের দোকান হিসেবে পরিচিত (Last Tea Stall)।
ইতিমধ্যেই দোকানটি ভারতের শেষ চা’এর দোকান (Last Tea Stall) হিসেবেই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এমনকি পর্যটকদের কাছেও এই দোকান যথেষ্ট জনপ্রিয়। জানলে অবাক হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছর এই নামে কিছুটা বদল করেছেন। কি বলেছেন তিনি? তিনি মন্তব্য করেছেন যে, বলাতে একটু ভুল রয়েছে আসলে এটি ভারতের শেষ সীমানার চায়ের দোকান নয় বরং প্রথম চা-এর দোকান। সেই কারণে দোকানের নামেও পরিবর্তন করতে হয়েছে।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই ভ্রমণ পিপাসুদের মনে কৌতুহল দানা বাঁধতে শুরু করে দিয়েছে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে কত উপরে হতে পারে এই চায়ের দোকানটি? মানা গাঁওয়ের শেষ চা-এর দোকানটি (Last Tea Stall) ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০,৫০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এত উচ্চতায় আদৌ খরিদ্দার হয় তো? উত্তর শুনলে অবাক না হয় পারবেন না। শুধুমাত্র প্রতিদিন যে খরিদ্দার হয় তাই নয়, দোকানের বিক্রি তাক লাগাতে পারে কলকাতার অনেক দোকানকেও।
ভারতের এই ‘প্রথম চা-এর দোকান’-এর মালিক হলেন চন্দর সিং বরওয়াল, এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান এই দোকানের বয়স রয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ বছর। দোকানটি চলছে পূর্ব পুরুষের আমল থেকেই, বর্তমানে তিনি হলেন মালিক। চন্দর সিং বলেন, প্রতিদিন তাঁর দোকান (Last Tea Stall) থেকে গড়ে যে পরিমাণ চা বিক্রি হয় তার আশ্চর্য করে দেবে আপনাকে। প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ থেকে ২০০০ কাপ চা বিক্রি হয় এখানে। অর্থাৎ প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রায় ৪০০০০ টাকার চা। কিন্তু অফ সিজনে বিক্রি অনেকটাই কমে যায়। মে -জুন মাসের ভরা মরশুমে বিক্রি আবার বৃদ্ধি পায়।
তিনি আরো বলেন, আগে অবশ্য এই দোকান ভারতের শেষ চা-এর দোকান নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মানা গ্রামে আসেন এবং শেষ গ্রামের নাম দেন প্রথম গ্রাম। সেই সময় থেকেই এই পরিবর্তন। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রতি কাপ চা-এর দাম কিন্তু ২০ টাকা। এত উপরে আসলে কিছুই সাধারণ ভাবে পাওয়া যায় না, তাই এই দাম রাখা হয়েছে। জল থেকে শুরু করে চা-পাতা, দুধ সবই নিচ থেকে অনেকটা টাকা খরচ করে উপরে তুলতে হয় খোদ দোকানিকে। এরজন্য আলাদা করে ভাড়া দিতে হয় পিট্টুদের। সেই কারণেই ২০ টাকায় চা বিক্রি হলেও লাভ কিন্তু বিশেষ থাকে না।