নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) সঙ্গে টেক্কা দিতে গিয়ে অবশেষে মুখ পুড়ল রাশিয়ার (Russia)। তাদের চন্দ্রাভিযান ধ্বংস হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। শনিবার থেকেই লুনা-২৫ (Luna 25) নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। আর রবিবার রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণাগার Roscosmos জানিয়ে দেয়, তাদের লুনা ২৫ ধ্বংস হয়েছে চাঁদে অবতরণের আগেই। জানা যাচ্ছে এই মহাকাশযানটির অধিকাংশ কলকব্জা ছিল চীনের।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ISRO গত ১৪ জুলাই চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করার পর ১০ আগস্ট রাশিয়া তাদের লুনা-২৫ উৎক্ষেপণ করেছিল। রাশিয়ার এই মহাকাশযানটি ভারতের পরে উৎক্ষেপণ করলেও ভারতের আগে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রি-ল্যান্ডিং কক্ষপথে প্রবেশের প্রাক মুহূর্তেই অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে রাশিয়ার মহাকাশযান। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে রবিবার ঘোষণা করা হয় ধ্বংসের বিষয়টি।
প্রথম থেকেই রাশিয়া তাদের এই চন্দ্রাভিযানের বিষয়ে গোপন রেখেছিল। তাদের এই মহাকাশযান লুনা ২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করত বলে জানা গিয়েছে। আবার এই দক্ষিণ মেরুতেই ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান ৩ অবতরণ করবে। এছাড়াও এই অভিযানের জন্য ঠিক কত টাকা খরচ করা হয়েছে তা নিয়েও ধামাচাপা শুরু হয়েছে রাশিয়ার তরফ থেকে। তবে বিষয়টি নিয়ে চুপ নেই আমেরিকার সহ পাশ্চাত্য দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলি।
উৎক্ষেপণ এরপর মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাশিয়া কোটি কোটি টাকার শক্তিশালী রকেট ব্যবহার করেছিল তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এছাড়াও রাশিয়ার ল্যান্ডার লুনা ২৫ এ ছিল প্রচুর পরিমাণে সোলার এবং ক্যামেরা। চাঁদের বুকে গর্ত খুঁড়ে গবেষণা চালানোর কথা ছিল রাশিয়ার এই নভোযানের। যে কারণে এই লুনা ২৫ এ ড্রিল মেশিন পর্যন্ত ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়াও রাশিয়ার লুনা ২৫ এ ছিল স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার। যেটি নিজে থেকেই নির্ধারণ করতে সক্ষম ছিল কোন কক্ষপথে এবং কোন দিকে তার যাওয়া উচিত। এই কম্পিউটারেই গোলযোগ আসার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে রাশিয়াকে বলে জানা যাচ্ছে। অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি নিয়ে শুরু করা এই মিশন এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে চাঁদে পৌঁছে এক মাসের বেশি সময় ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য মস্কোর ১৬ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমন বিপুল পরিমাণ টাকা ক্ষতির দাবি তোলা হচ্ছে আমেরিকা এবং ইউরোপের তাবড়তাবড় সংবাদ মাধ্যমগুলির তরফ থেকে।