নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯ সালে যে চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan 2) চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারই ফলোআপ মিশন হল চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। ২০১৯ সালের অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর সেই অভিযান থেকে শিক্ষা নিয়ে চার বছর পর ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই শুরু হয় ভারতের তৃতীয় চন্দ্রাভিযান। উৎক্ষেপণের প্রায় ৪০ দিন পর বুধবার ২৩ আগস্ট সফল ভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram)।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিক্রম সফলভাবে ল্যান্ডিং করার পর রীতিমত একাধিক রেকর্ড তৈরি করল। ইসরোর (ISRO) এই চন্দ্রাভিযান বিশ্বের প্রথম কোন সফল অভিযান, যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে সক্ষম হল। ইসরো মাত্র ৬১৫ কোটি টাকায় এই মিশন সফল করেছে। অন্যান্য কোন দেশ এত অল্প বাজেটে এত বড় মিশন সফল করতে পারেনি বা ভাবেও না। এদিনের এই সফলতা ভারতের ১৪০ কোটি বাসিন্দার স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি বিশ্বের সামনে গবেষণার নতুন দরজা খুলে দিল।
তবে এত কাঠখড় পুড়িয়ে চাঁদে পা রাখার পর lander বিক্রম, রোভার প্রজ্ঞান কাটাবে মাত্র চাঁদের ‘হাফ দিন’। এত খাটাখাটনির পর কেন ‘হাফ দিন’ কাটাবে? এ নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। তবে কৌতুহল থাকলেও এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে একটি কারণ। কি সেই কারণ চলুন দেখে নেওয়া যাক। এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে চাঁদের পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করার সময়।
কেননা পৃথিবীর একদিন আর চাঁদের একদিন কখনই সমান নয়। পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে প্রায় ২৪ ঘন্টা। এক্ষেত্রে প্রায় ১২ ঘন্টা দিন আর ১২ ঘন্টা রাত হয়ে থাকে। কিন্তু চাঁদের পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে পৃথিবীর হিসাবে ২৭.৩ দিন অর্থাৎ প্রায় ২৮ দিন। এক্ষেত্রে ১৪ দিন চাঁদে আলো থাকে আর ১৪ দিন অন্ধকার। যাকে আমরা দিন ও রাত বলে থাকি।
এখন চন্দ্রযান ৩ বিক্রম এবং প্রজ্ঞান দিনের বেলায় কাজ করবে। সেই হিসাবে পৃথিবীর ১৪ দিন চাঁদের হাফ দিন পৃথিবীতে তথ্য প্রেরণ করবে। এমনও হতে পারে তার থেকেও বেশি সময় কাজ করতে পারে প্রজ্ঞান এবং বিক্রম। তবে এখনো পর্যন্ত যে হিসাবে চলা হচ্ছে তাতে পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিন চাঁদের বুকে কাজ করবে। যে হিসাব অনুযায়ী তা চাঁদের ‘হাফ দিন’।