বসিরহাট থেকে বীরভূম, চন্দ্রযান-৩ এর গুরু দায়িত্বে এই ৯ বঙ্গসন্তান, কুর্নিশ আপনাদের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯ সালে বিফল, আর চার বছর পার হতে না হতেই সফল। চন্দ্র জয়ের অভিযানে নেমে এমনটাই করে দেখালো ইসরো (ISRO)। ১৪ জুলাই সফলভাবে উৎক্ষেপণের পর ২৩ আগস্ট অর্থাৎ ৪০ দিনের মাথায় চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করল চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে বিশ্বের সামনে ইতিহাস তৈরি করল। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণের পাশাপাশি ভারত প্রথম দেশ যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করল। এত বড় একটি মিশনে যেমন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা গুরু দায়িত্বে রয়েছেন ঠিক সেই রকমই বাংলার বসিরহাট থেকে বীরভূম ৯ জন মহাকাশ বিজ্ঞানী এর গুরু দায়িত্বে রয়েছেন।

Advertisements

১) মানস সরকার : ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানী মানস সরকার বসিরহাটের বাসিন্দা। তিনি নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক বিদ্যালয়ের একজন কৃতি ছাত্র। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি পদার্থবিদ্যায় স্নাতক নিয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ইসরোর টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং এবং কমান্ড নেটওয়ার্কের একজন পদস্থ অফিসার।

Advertisements

২) কৃষাণু নন্দী : বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এলাকার কৃষাণু নন্দী এই মিশনের অন্য একজন সদস্য। তার দায়িত্বে রয়েছে চাঁদের মাটিতে বিক্রম অবতরণ করার পর প্রজ্ঞানের বেরিয়ে আসা থেকে শুরু করে রোবট গাড়ির সঙ্গে সমন্বয়ের গতিবিধি তৈরি করা এবং তার ওপর নজরদারি চালানো।

Advertisements

৩) সৌমজিৎ চট্টোপাধ্যায় : বীরভূমের সৌমজিৎ চট্টোপাধ্যায় এই মিশনে সফটওয়্যার অপারেশন ডিরেক্টর হিসাবে গুরু দায়িত্ব পালন করছেন। বীরভূমের দ্বিতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী হিসাবে তিনি এই মিশনে রয়েছেন। সিউড়ি ১ নং ব্লকের রায়পুরের এই মহাকাশ বিজ্ঞানীর এই মিশনে অংশগ্রহণ বীরভূমবাসীদের গর্বকে দ্বিগুণ করেছে।

৪) বিজয় কুমার দাই : চন্দ্রযান ২ এর চন্দ্রযান ৩ মিশনের গুরু দায়িত্বে থেকে বীরভূমের মুখ বারবার উজ্জ্বল করে চলেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানী বিজয় কুমার দাই। তিনি ময়ূরেশ্বর এলাকার দক্ষিণ গ্রামের এক দরিদ্র চাষী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অত্যন্ত মেধাবী এই মহাকাশ বিজ্ঞানীর পড়াশুনা হয় গ্রামের স্কুল ছাড়াও বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরে।

৫) কৌশিক নাগ : চন্দ্রযান ৩ মিশনে সক্রিয় ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন জলপাইগুড়ির কৌশিক নাগ। বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করার পর ২০১৮ সালে কৌশিক সুযোগ পান ইসরোতে যোগ দেওয়ার। এরপরই এই বছর চন্দ্রযান ৩ মিশনে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

৬) তুষার কান্তি দাস : মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বড়ুয়া কলোনির বাসিন্দা তুষার কান্তি দাস ইসরোর বিজ্ঞানী। তিনি এই প্রজেক্টে সরাসরি যুক্ত।

৭) পীযুষ কান্তি পট্টনায়ক : চন্দ্রযান ৩ মিশনের অন্যতম একজন মহাকাশ বিজ্ঞানী হিসেবে অংশগ্রহণ রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার পীযূষ কান্তি পট্টনায়কের।

৮) অনুজ নন্দী : উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের আশ্রম পাড়ার বাসিন্দা হলেন অনুজ নন্দী। তিনি ইসরোতে আট বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন এবং পরবর্তীতে রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন।

৯) জয়ন্ত লাহা : উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা ‘প্রজ্ঞান’-এর নেভিগেশান ক্যামেরা টিমের অন্যতম সদস্য। তিনি উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা করে শিবপুর বিই কলেজ, আর তারপর খড়গপুর IIT তে ভর্তি হন।

Advertisements