Senior citizens can get train tickets completely free: যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ভারতীয় রেল বর্তমানে যথেষ্ট উন্নত হয়েছে। তার সব থেকে বড় উদাহরণ হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ধরনের ট্রেনের মতো আধা উচ্চ-গতির ট্রেনগুলি রেল নেটওয়ার্কে প্রচুর গতি এনেছে। পাশাপাশি ভারতীয় রেল নিজেদের পরিষেবার ক্ষেত্রে বর্তমানে পরিবর্তন ঘটিয়েছে। রেল বরাবর যাত্রীদের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়া স্টেশনগুলির উন্নতির ক্ষেত্রে বিশেষ প্রকল্প এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়া রেলের টিকিটের ভাড়ার (Train Tickets) ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় পায় কিছু যাত্রীরা, সেটাই বিস্তারিত জেনে নেব প্রতিবেদনটি থেকে।
প্রবীর নাগরিকদের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেল নিজেদের পরিষেবা বরাবর উন্নত করার চেষ্টা করেছে। এমনকি তাদের টিকিটের ক্ষেত্রেও বিরাট রকমের ছাড় দেওয়া হতো। কিন্তু সেই টিকিটে ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা অনেক ক্ষেত্রেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মহামারীর সময় থেকেই প্রবীণ নাগরিকদের জন্য টিকিটের ভাড়ায় (Train Ticket) ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মহামারীর সময় এই ব্যবস্থাটি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। কিন্তু করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই বিশেষ সুবিধা আর ফিরিয়ে আনেনি ভারতীয় রেল। বর্তমানে প্রবীণ নাগরিকরা টিকিটের ভাড়ায় বিশেষ ছাড় পাবে কিনা সে বিষয়ে এখনো অবধি কিছুই জানায়নি রেল। কিন্তু আজও ভারতীয় রেল কিছু কিছু যাত্রীর ক্ষেত্রে ট্রেনের টিকিটের ভাড়ায় (Train Tickets) ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা বজায় রেখেছে।
যাত্রীরা তাদের ট্রেনের টিকিটের ভাড়ায় (Train Tickets) ৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পান। সাধারণত এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য। তবে ভাববেন না যে বিশেষ সুবিধা শুধুমাত্র রোগীরাই পাবে তার সঙ্গে যেসব যাত্রীরা থাকবে তারাও পাবে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন রোগী এবং ভিন্নভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা যারা এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন ট্রেনের টিকিটের ভাড়ায়।
কিন্তু সব ধরনের রোগী ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে টিকিটের ভাড়ায় ছাড় পাবে না। বিশেষ কিছু রোগী ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে এই সুবিধা লাভ করতে পারবে। শুধুমাত্র এইসব রোগে ভুগছেন যারা তারাই চার পাবেন যেমন – ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া, টিবি, এইডস, রক্তশূন্যতা, হিমোফিলিয়া, হার্ট সার্জারির জন্য যাচ্ছে রোগী এবং পরিচারক, কিডনি রোগীরা অপারেশন বা ডায়ালাইসিসের জন্য যাচ্ছেন এমন ব্যক্তি এবং কুষ্ঠ রোগী। ছাড় পাওয়ার জন্য অবশ্যই নথির প্রয়োজন। রোগীদের টিকিটের সঙ্গে মেডিকেল সার্টিফিকেটের একটি কপি জমা দিতে হবে এবং যা স্বীকৃত হাসপাতাল বা হাসপাতালের অফিসার ইনচার্জ দ্বারা জারি করা উচিত যেখানে রোগীর চিকিৎসা চলছে। পাশাপাশি ডিসাবিলিটি সার্টিফিকেট বা অক্ষমতা শংসাপত্রও জমা দিতে হতে পারে।