নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর ২১ জুলাই থেকে রাজ্যের অন্যতম তরুণ তৃণমূল নেত্রী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন রাজন্যা হালদার (Rajanya Haldar)। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই নেত্রীকে একুশের মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেতেই সেই সুযোগ কোনরকম হাতছাড়া করেননি তরতাজা এই তরুণী। সেদিনের তার বক্তব্যে মুগ্ধ হয়ে যান তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতা নেত্রীরা।
এরপরই দেখা যায় রাজন্যা হালদার রাজ্যে আলাদা মুখ হয়ে উঠতে। বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে বক্তব্য রাখার জন্য নেতারা তাকে হায়ার করতে শুরু করেন। এরই মধ্যে যাদবপুরে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে যাদবপুরে নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধি করার জন্য দায়িত্ব এসে পড়ে রাজন্যার উপর। তবে এই দায়িত্ব আসার পরই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্যতম মুখ রাজন্যা হালদারকে।
দিন কয়েক ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার একটি রিল ভিডিও নিয়ে চলছে নানান ধরনের মিম। এরই মধ্যে আবার সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার হোয়াটসঅ্যাপের গোপন চ্যাট ভাইরাল হল। এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগের। লাল সৈনিক নামে একটি ফেসবুক পেজ রাজন্যা হালদারের এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে রাজন্যা হালদারকে ‘মুকুল জেঠু’ নামে কারো সঙ্গে চ্যাট করতে দেখা গিয়েছে। এই কথোপকথন হয় ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল। সোশ্যাল মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে ওই মুকুল জেঠু আসলে মুকুল রায়। যে চ্যাটে প্রথমে নিজেদের খবরা-খবর নিতে শুরু করার পর বিজেপির প্রসঙ্গ আসে। মুকুল জেঠু রাজন্যা হালদারের এলাকায় বিজেপি কেমন ফলাফল করবে জানতে চাইলে রাজন্যা জানান তাদের এলাকায় অল্প মার্জিনে হলেও বিজেপি বেরিয়ে যাবে।
এরপরই রাজন্যা হালদার জিজ্ঞেস করেন তিনি কি করবেন? কথোপকথনের মাঝেই বিজেপিতে যোগদানের জন্য রাজি হয়ে যান রাজন্যা। পাশাপাশি তিনি কৃষ্ণনগরে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলেও জানান। তবে এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশটের সত্যতা যাচাই করেননি আমাদের সংবাদ মাধ্যম। অন্যদিকে এই ভাইরাল হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিয়ে রাজন্যা হালদার দাবি করেছেন, এটি বিকৃত করা হয়েছে এবং এর থেকে বেশি তিনি আর কিছু বলতে চান না।