নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো (ISRO) অবশেষে সফলভাবে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) অবতরণ করিয়েছে। ভারতের এমন সাফল্য দেশের ১৪০ কোটির বেশি মানুষের স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। তবে মহাকাশের চাঁদকে ঘিরে রয়েছে অজস্র রহস্য। সেই সকল রহস্যের মধ্যে ৬টি রহস্য আজও উদ্ধার হয়নি। প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) কি পারবে এই ৬ রহস্য উদ্ধার করতে?
১) চাঁদের গঠন কিভাবে হল তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে এখনো নানান সংশয় রয়েছে। অ্যাপেলো ১১ চাঁদের মাটি এবং অন্যান্য শিলা সংগ্রহ করে এনে বিজ্ঞানীদের অনেক তথ্য দিয়েছে। তবে এরপরেও এখনো চাঁদের গঠন নিয়ে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও পৃথিবীর সঙ্গে এর সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়গুলি এখনো স্পষ্ট ভাবে বিজ্ঞানীদের কাছে পরিষ্কার নয়। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ১০ বছর আগে নাসা জলের সন্ধান পেয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে আর কিছু স্পষ্ট নয়।
২) ২০০৮ সালে চন্দ্রযান ১ চাঁদের মাটিতে প্রচুর পরিমাণে বরফের সন্ধান পেয়েছিল। এক্ষেত্রে চাঁদে যদি জল থাকে তাহলে তা ব্যবহারযোগ্য কিনা এবং এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষের বসবাস করা যেতে পারে কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানান প্রশ্ন রয়েছে। চাঁদে যে জলের সন্ধান আগেই মিলেছে তার উৎস কি ইত্যাদির সন্ধান চালাবে প্রজ্ঞান। এখন তা সফল হয় কিনা সেটাই দেখার।
৩) পৃথিবীতে ভূমিকম্প হয় কারণ পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ভূ কাঠামো সক্রিয়। কিন্তু পৃথিবীর মতো চাঁদেও ভূমিকম্প হয়ে থাকে। চাঁদে কেন ভূমিকম্প হয় তা এখনও অধরা। অ্যাপেলো যুগে চাঁদে যে সকল সিসমোমিটার রাখা হয়েছিল সেগুলি ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চাঁদের মাটিতে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ করে। সেখানে দেখা গিয়েছে চাঁদ ভূতাত্ত্বিক দিক দিয়ে সক্রিয়। কিন্তু কেন তা এখনো জানা যায়নি।
৪) চাঁদের দক্ষিণ মেরু যেখানে বিক্রম অবতরণ করেছে সেখানে রয়েছে বিশাল একটি ক্রেটার। বিজ্ঞানীদের মতে এই সুগভীর গর্তের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে প্রভাবিত করে। একে বলা হয় আইটকেন বেসিন। কিন্তু এই বেসিনের রহস্য আজও উদ্ঘাটিত হয়নি।
৫) পৃথিবী থেকে চাঁদের কেবলমাত্র একটি পৃষ্ঠ দেখা যায়। কারণ পৃথিবীর চারদিক ঘুরতে চাঁদের যতটা সময় লাগে ঠিক ততটাই সময় লাগে চাঁদকে নিজের কক্ষপথের চারপাশ ঘুরতে। কিন্তু কেন এমনটা হয়েছে তা এখনো অধরা।
৬) গবেষণায় দেখা গিয়েছে ১০০ মিলিয়ন বছর আগে চাঁদে বহু আগ্নেয়গিরি সক্রিয় ছিল। কিন্তু এখন বহু বছর ধরে আগ্নেয়গিরি সক্রিয় হওয়া অথবা অগ্নুৎপাতের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই সংক্রান্ত কোনো তথ্য এখনো পর্যন্ত মনুষ্য জাতির কাছে নেই।