নিজস্ব প্রতিবেদন : পড়ুয়ারা যাতে সঠিক পুষ্টি পান তার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে মিড ডে মিল (Mid day meal)। যদিও সম্প্রতি এই প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে পোষণ অভিযান (POSHAN Abhiyaan)। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে পড়ুয়াদের প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। পুষ্টিকর সেই খাবারের তালিকায় থাকে মাছ, ডিম, মাংস, সোয়াবিন ইত্যাদি।
তবে কোন কোন সময় কপাল খারাপ থাকার কারণে মিড ডে মিলের খাবারে পাওয়া যায় সাপ, ব্যাঙ, টিকটিকি, জোঁক ইত্যাদি। এসব নিয়ে পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের মধ্যে কম অভিযোগ নেই। কখনো কখনো আবার নিম্নমানের খাবারের অভিযোগ তুলতে দেখা যায় পড়ুয়া থেকে অভিভাবকদের। তবে এসবকে অতীত করে এবার পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের পাতে পড়ল রূপোলি ফসল ইলিশ (Ilish)।
মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের পাতে ইলিশ দেওয়ার বিষয়টি অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য হলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে ফলতা অবৈতনিক প্রাইমারি স্কুলে। আর এই নিয়ে এখন রাজ্যজুড়ে চরম চর্চা। কেননা মিড ডে মিলের খাবার মানেই আমরা ভাত, ডাল, সবজি ইত্যাদি বুঝে থাকে। কখনো কখনো কপাল ভালো হলে পাওয়া যায় চিকেন। তবে এসবের মধ্যেই এমন ইলিশ পাতে পড়াই খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা।
স্থানীয় এবং পড়ুয়াদের অভিভাবক ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হয় মূলত ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দৌলতে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিদিন পড়ুয়াদের একই রকম খাবার দিতে পছন্দ করেন না। যে কারণে তিনি খাবারের মেনুতে হামেশাই পরিবর্তন আনেন এবং পড়ুয়াদের পাতে সুস্বাদু খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা চালান।
জানা গিয়েছে, ঐ শিক্ষক মিড ডে মিলের খাবারের মেনুতে পরিবর্তন এনে কখনো ফ্রাইড রাইস, চিলি চিকেন, কখনো আবার বিরিয়ানির মতো খাবারও দিয়ে থাকেন। আর এবার তিনি এককদম এগিয়ে পড়ুয়াদের পাতে ইলিশ দিলেন। তবে যেদিন এমন আয়োজন করা হয়েছিল সেই দিন আয়োজনে দু’রকম ব্যবস্থা ছিল। স্কুলের একেবারে ক্ষুদে পড়ুয়াদের জন্য ছিল বাগদা চিংড়ি আর বড়দের জন্য ছিল ইলিশ। স্কুলের এক শিক্ষক তিলক নস্কর জানিয়েছেন, ইলিশ মাছের বেশি কাঁটা থাকে আর সেই কাঁটা যাতে খুদে পড়ুয়াদের গলায় আটকে না যায় তার জন্য তাদের চিংড়ি দেওয়া হয়।