Banglar Sharee Scheme: দুঃস্থ-দরিদ্রদের জন্য দয়ালু হলেন মুখ্যমন্ত্রী, সস্তায় শাড়ি দিতে নতুন উদ্যোগ

Prosun Kanti Das

Published on:

Bengalis will get cheap sarees before Puja on the initiative of Chief Minister: পুজোর আগেই সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলার শাড়ি কেনার সুযোগ পাচ্ছেন রাজ্যের বাসিন্দারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যের ৩৬৫টি ব্লকে ‘বাংলার শাড়ি’ (Banglar Sharee Scheme) নামে নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় শুধুমাত্র বাংলার তাঁতিদের তৈরি শাড়ি বিক্রি করা হবে। শাড়ির দামও রাখা হবে সাশ্রয়ী। ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট, বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

প্রথম পর্যায়ে ঢাকুড়িয়ার দক্ষিণাপন এবং নিউ দিঘায় দুটি ‘বাংলার শাড়ি’ স্টোর চালু করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে রাজ্যের অন্যান্য ব্লকে এই স্টোরগুলি চালু করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের তাঁতিদের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলার শাড়ির প্রচারের লক্ষ্য রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলার শাড়ি হলো ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্রকল্পের (Banglar Sharee Scheme) মাধ্যমে বাংলার শাড়ি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।

বাংলার শাড়ি (Banglar Sharee Scheme) প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় শাড়ির একটা দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আপনাদের পূর্বপুরুষরা তৈরি করেছেন অসংখ্য সুন্দর সুন্দর শাড়ি। এই শাড়িগুলি বাংলার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির একটি অংশ। তিনি সর্বদা চান এই শাড়িগুলি বিশ্বের কাছে পরিচিত হোক।

তিনি আরো বলেন, এই রাজ্যে অনেক প্রতিভাবান তাঁতি রয়েছেন। কিন্তু তারা প্রায়ই আর্থিক সমস্যায় পড়ে যান। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের আয় বৃদ্ধি পাবে। তারা আরও ভালোভাবে তাদের কাজ করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার শাড়ির প্রচারের জন্যও কাজ করা যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলার শাড়ি প্রদর্শনীর আয়োজন করা সম্ভব।

‘বাংলার শাড়ি’ (Banglar Sharee Scheme) প্রকল্পের লক্ষ্য হল- রাজ্যের তাঁতিদের আয় বৃদ্ধি করা। বাংলার শাড়ির প্রচারের মাধ্যমে রাজ্যের অর্থনীতিতে অবদান রাখা। বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাংলার শাড়ির বিপণন ব্যবস্থাকে সুসংগঠিত করা। বাংলার শাড়ির গুণগত মান উন্নত করা। বাংলার শাড়ি বিক্রির মাধ্যমে রাজ্যের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনা। ‘বাংলার শাড়ি’ প্রকল্প রাজ্যের তাঁতিদের জন্য একটি আশার আলো। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা তাদের কাজের বিনিময়ে ভালো দাম পাবেন। এছাড়াও, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার শাড়ির প্রচারের মাধ্যমে রাজ্যের অর্থনীতিতেও অবদান রাখা সম্ভব হবে।