Katra-Banihal train service is going to start soon with longest rail tunnel in country: জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরা ও বানিহালের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কাটরা-বানিহাল রেলপথের (Katra Banihal Rail Project) দীর্ঘতম সুড়ঙ্গে প্রথম ট্রায়াল রান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ৮.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গটিই হতে চলেছে দেশের দীর্ঘতম রেল সুড়ঙ্গ। গত শনিবার বিকেলে, একটি বিশেষ ট্রেন এই সুড়ঙ্গে নিরাপদে চলাচল করে। ট্রেনটিতে ছিলেন উত্তর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, ইঞ্জিনিয়ার এবং নির্মাণকর্মীরা। ট্রায়াল রান সফল হওয়ায়, শীঘ্রই এই রেলপথে নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কাটরা-বানিহাল রেলপথটি (Katra Banihal Rail Project) ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই রেলপথটি চালু হলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে যাবে। এছাড়াও, এই রেলপথটি পর্যটন শিল্পকেও প্রসারিত করবে।এই রেলপথের নির্মাণকাজ ২০০৩ সালে শুরু হয়েছিল। ২০২১ সালে সুড়ঙ্গটি নির্মাণের কাজ শেষ হয়। তবে, রেলপথের অন্যান্য অংশের নির্মাণকাজ এখনও চলছে।
কাটরা-বানিহাল রেলপথটি (Katra Banihal Rail Project) জম্মু ও কাশ্মীরের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই রেলপথটি চালু হলে, জম্মু ও কাশ্মীরের সাথে ভারতের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। এছাড়াও, এই রেলপথটি পর্যটন শিল্পকেও প্রসারিত করবে। কাটরা-বানিহাল রেলপথের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গটি নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এই সুড়ঙ্গটি হিমালয়ের কোলে অবস্থিত। এই অঞ্চলে আবহাওয়া বেশ প্রতিকূল। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকিও রয়েছে।
এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার জন্য, নির্মাণকর্মীদের বেশ কয়েকটি বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়েছিল। এই সুড়ঙ্গটি নির্মাণে খনন মেশিন, ভূগর্ভস্থ বোমা, ভূগর্ভস্থ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। কাটরা-বানিহাল রেলপথের (Katra Banihal Rail Project) দীর্ঘতম সুড়ঙ্গটি বেশ কয়েকটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই সুড়ঙ্গটি হিমালয়ের কোলে অবস্থিত। এই অঞ্চলে ভূমিধস, বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি রয়েছে। এই সুড়ঙ্গটি চালু হলে, এই দুর্যোগের সময় নিরাপদে যাতায়াত করা সম্ভব হবে।
এছাড়াও, এই সুড়ঙ্গটি জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ করবে। এই সুড়ঙ্গটি চালু হলে, জম্মু ও কাশ্মীরের সাথে ভারতের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। এছাড়াও, এই সুড়ঙ্গটি পর্যটন শিল্পকেও প্রসারিত করবে।