Government of Myanmar provides visa on arrival to Indians:: মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার সম্প্রতি ভারতীয় পর্যটকদের জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল (Visa on Arrival) চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয়দের এখন থেকে মায়ানমার ভ্রমণের জন্য আগে থেকে ভিসা নিতে হবে না। শুধুমাত্র একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ মায়ানমারের যেকোনো বিমানবন্দরে পৌঁছে ভিসা পাওয়া যাবে।
এই সিদ্ধান্ত (Visa on Arrival) ভারতীয় পর্যটকদের জন্য মায়ানমার ভ্রমণকে আরও সহজ এবং সাশ্রয়ী করে তুলবে। এর ফলে মায়ানমারের পর্যটন শিল্পে নতুন প্রাণ সঞ্চার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিদেশ যাত্রায় ভারতীয়দের জন্য এটা দুর্দান্ত সুখবর। ভারত ছাড়া চিনা নাগরিকরাও এই সুবিধা পাবে জুন্টা প্রশাসন এর থেকে। সূত্র থেকে জানা যায়, বিদেশি পর্যটক ও পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রাভান্ডার বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জুন্টা সরকারের অভিবাসন দফতর এক বছরের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এই সুবিধা দেবে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পাকাপাকিভাবে ভারতীয়দের এই ছাড়া মিলবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ভিসা অন অ্যারাইভালের (Visa on Arrival) সুবিধা পাবে ভারতীয় ও চিনা নাগরিকরা এবং তারা সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রে যেতে পারবেন।
পর্যটকরা অবশ্য মায়ানমায়ের ভিতরে চলাফেরা করতে কোনো রকম বাধা পাবেনা। শুধুমাত্র সংরক্ষিত এলাকাগুলি নিষিদ্ধ থাকবে তাদের জন্য। মায়ানমারে বর্তমানে ভিসা (Visa on Arrival) বাধ্যতামূলক এবং পর্যটকরা চাইলে অনলাইন কিংবা দেশটির দূতাবাসে গিয়েও ভিসা চাইতে পারেন। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর জুন্টা সরকারের শাসনে চলে আসে দেশটি। দেশের সমস্ত ক্ষমতা আসে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের হাতে। এর প্রধান হলেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। কিন্তু সেনাশাসনের সূচনা হওয়ার পর থেকেই আর্থিক সংকটে ভুগছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশ। সেনা অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার তরফে নাগরিকদের সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সামরিক অভ্যুত্থান এর পর থেকে দূরত্ব বেড়েছে মায়ানমারের সঙ্গে চীন এবং ভারতের। তাই পর্যটনকে আঁকড়ে ধরে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে মায়ানমার। রুশ পর্যটকদের জন্যেও নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি রাশিয়ার নোভোসিব্রিক্স থেকে সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালু করছে দেশটি। বিমানেও ব্যবহার করা যাবে বিদেশি মুদ্রা। বিদেশি পর্যটকদের জন্য ২০১১ সালে সীমান্ত খুলে দেয় মায়ানমার সরকার। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতিতে বিদেশিদের আসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলেও ২০২২ থেকে ফের তা চালু হয়। পর্যটকদের কাছে অবশ্য বরাবরই আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে এই দেশ।