The name of the state known as the bicycle capital: যানবাহনের মধ্যে সাইকেল হল এমন একটি বাহন যা আপনি খুব সহজেই স্বল্প খরচায় কিনতে পারবেন। সাইকেল চালিয়ে পৌঁছাতে পারবেন বহু জায়গায়। ভারতে এমন একটি রাজ্য আছে যেখানে সাইকেল চালিয়ে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন অফিস, স্কুল, কলেজ এমনকি হাট বাজারেও। এই রাজ্যে এমন কোন মানুষ নেই যে সাইকেল চালায়নি। ভারতের মতো দেশে সাইকেল নামক বাহনটির অবদান কিন্তু কম নয়। অনেকেই হয়তো জানেন না এই দেশে এমন একটি রাজ্য আছে যা সাইকেল রাজধানী নামে পরিচিত (Cycle Capital in India)।
সাইকেল রাজধানী (Cycle Capital in India) নামটি শুনলে অদ্ভুত লাগলেও সত্যিই এরকম একটি রাজ্য আছে এই দেশে। আপনি কি আদৌ জানেন সেই রাজ্যটির নাম? এই খেতাব পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভে’র ২০১৯-২০২১ রিপোর্ট অনুসারে, এ রাজ্যের ৭৮.৯ শতাংশ পরিবারের কাছে একটি করে বাইসাইকেল রয়েছে। যেখানে গোটা দেশের গড় হলো ৫০.৪ শতাংশ। এই অদ্ভুত খেতাব দেওয়ার পিছনে রয়েছে আরও একটি কারণ সেটি হল রাজ্য সরকারের ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্প। একমাত্র এই প্রকল্পের প্রভাবেই সাইকেলের ব্যবহার অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হয় সরকারের তরফে।
শুধুমাত্র স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই নয় তাদের পরিবারের জন্য এই সাইকেলের গুরুত্ব কিন্তু অপরিসীম। এই প্রকল্পের জন্যই বাংলা ভারতের সাইকেল ব্যবহারে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তবে এই তালিকায় বাংলার ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে উত্তরপ্রদেশ। এ রাজ্যের পরিবার পিছু সাইকেল রাখার গড় হার ৭৫.৬ শতাংশ। এই দুই রাজ্যই দেশের মোট গড় হারের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। বাংলার (Cycle Capital in India) মত উত্তরপ্রদেশেও সাইকেলের ব্যবহার অনেকটাই বেশি। বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলকেই চড়তে দেখা যায় সাইকেলকে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন রাজ্যে সাইকেল ব্যবহারের হার কতটা? পশ্চিমবঙ্গ – ৭৮.৯ শতাংশ, উত্তর প্রদেশ – ৭৫.৬ শতাংশ, ওড়িশা – ৭২.৫ শতাংশ, ছত্তিসগড় – ৭০.৮ শতাংশ, আসাম – ৭০.৩ শতাংশ। উপরের রাজ্যগুলির পরিবর্তী স্থানে রয়েছে পঞ্জাব, ঝাড়খন্ড এবং বিহার। সাইকেলের ব্যবহারের হার বেশি হলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে সাইকেলের রাজধানী (Cycle Capital in India) বলা হয়ে থাকে।
তবে যাই হোক শরীরের দিকে খেয়াল রাখলে সাইকেল চালানো সত্যিই উপকারী। ওজন কমাতে হলে সাইক্লিং করার পরামর্শ অনেকেই দিয়ে থাকে। পাশাপাশি নিয়মিত সাইকেল চালানোর ফলে পায়ের পেশী শক্তি হয়। শরীরের গঠন ঠিক রাখা, স্বাস্থ্য উন্নতি এসব বাদ দিয়েও সাইকেল হলো পরিবেশ বান্ধব। জ্বালানির প্রয়োজন না পড়ায় বায়ু দূষণ কমে। ঠিক তেমনই অর্থ সঞ্চয়ও কম যায়।