নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ সময় ধরে চাঁদের দক্ষিণ মেরু সূর্যালোকের বাইরে থাকার পর ফের সেখানে সূর্যোদয় হয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যোদয় অর্থাৎ দিন হওয়ার পর ফের চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) এর ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) জেগে উঠবে কিনা তা নিয়ে ইসরোর (Isro) বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি দেশের মানুষের মধ্যেও তৈরি হচ্ছে চরম কৌতূহল। আর এই নিয়েই এবার মিলল নতুন আপডেট।
গত ১৪ জুলাই চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের পর ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান। এরপর তারা যথাসময়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ মিটিয়ে দেয়। কাজ মেটানোর পর যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার নেমে আসতে শুরু করে সেই সময় ২ সেপ্টেম্বর তাদের স্লিপ মোডে পাঠিয়ে দেয় ইসরো। তবে প্রথম থেকেই আশা করা হচ্ছিল, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ফের যখন সূর্যের আলো পড়বে তখন বিক্রম এবং প্রজ্ঞান ফের জেগে উঠবে। আর সেই মহেন্দ্রক্ষণ এখন চলে এসেছে।
ইতিমধ্যেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো পড়ার পর বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের ব্যাটারি চার্জ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি ইসরোর বিজ্ঞানীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর এই কাজটিতে সফল হয়ে গেলেই ভারত এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের বিজ্ঞানীদের বাড়তি পাওনা। কেননা যোগাযোগ স্থাপন সফল হলে অর্থাৎ বিক্রম এবং প্রজ্ঞান জেগে উঠলে আরও কয়েকদিন বাড়তি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে।
বিক্রম এবং প্রজ্ঞান ফের জেগে উঠতে সক্ষম হবে কিনা তা সম্পর্কে ইসরোর স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের অধিকর্তা নিলেশ দেশাই জানিয়েছেন, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে চাঁদে সূর্যোদয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে আশা করা হচ্ছে আজ অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর সোলার প্যানেল থেকে শুরু করে অন্যান্য যে সকল জিনিসপত্র রয়েছে সেগুলি ফুল চার্জ হয়ে যাবে। আর চার্জ হয়ে গেলেই পুনরায় তাদের জাগিয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হবে।
এক্ষেত্রে যদি চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে পুনরায় জাগিয়ে তোলা সম্ভব হয় তাহলে তা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে নতুন রেকর্ড তৈরি করা হবে। কারণ চাঁদের দক্ষিণ মেরু যেভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করে তাতে নতুন করে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলা সবচেয়ে বড় সফলতা হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও এই দুজনকে জাগিয়ে তোলা মানেই হচ্ছে ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের মহাকাশ গবেষণাগারের বিজ্ঞানীদের কাছেও বাড়তি পাওনা।