নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রত্যেক নতুন মাসের শুরুতেই দেখা যায় অর্থনৈতিক থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়মে নানান পরিবর্তন আনা হয়। ঠিক সেই রকমই নতুন মাস অর্থাৎ অক্টোবর (October) থেকেই একাধিক ক্ষেত্রে আসছে নানান পরিবর্তন। এই সকল পরিবর্তনের মধ্যে ৬টি পরিবর্তন (New Rules) একেবারেই অন্য রকমের এবং তা সাধারণ মানুষদের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে। কারণ এই সকল পরিবর্তন টাকা-পয়সা সংক্রান্ত।
১) ডিম্যাট এবং ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে সেবি (SEBI) নতুন নিয়ম জারি করেছে এবং সেই নতুন নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে এমন প্রত্যেককে নমিনেশন বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে। নমিনেশন করার শেষ সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর। নির্ধারিত এই সময়সীমার মধ্যে এই নিয়ম না মানলে অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে ডিম্যাট এবং ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সুতরাং ঝামেলা এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ধরনের অ্যাকাউন্টে নমিনি যোগ করে দিতে হবে অ্যাকাউন্টধারীদের।
২) ডিম্যাট এবং ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট ছাড়াও যারা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে থাকেন তাদেরও নমিনি যোগ করতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে এমন গ্রাহকদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কাজটি সেরে নিতে হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কাজ সাড়া না হলে ১ অক্টোবর থেকে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে আর বিনিয়োগ করা যাবে না।
৩) অক্টোবর মাসে যদি কেউ বিদেশ ট্যুরে যেতে চান বা বিদেশ ট্যুর প্যাকেজ কিনতে চান সেক্ষেত্রে তাকে বাড়তি খরচ করতে হবে। সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিদেশ ট্যুরের ক্ষেত্রে ৫% টিসিএস এবং ৭ লক্ষ টাকার বেশি হলে ২০ শতাংশ টিসিএস খরচ করতে হবে। তবে এই খরচের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জায়গায় ছাড়ও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।
৪) ২০০০ টাকার গোলাপী নোট ব্যাংকে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ হিসেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে যাদের কাছে এখনো এই ধরনের নোট রয়েছে তাদের অবিলম্বে সেই টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। আর যদি তা না করা হয় তাহলে অক্টোবর মাস থেকে সেই টাকা সাধারণ কাগজে পরিণত হবে।
৫) কেন্দ্র সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১ অক্টোবর থেকে বার্থ সার্টিফিকেট অত্যন্ত জরুরি একটি সার্টিফিকেটে পরিণত হচ্ছে। এবার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে শুরু করে আধার কার্ড তৈরি করা অথবা সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও বার্থ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।
৬) আগামী ১ অক্টোবর থেকে পিপিএফ, এসএসওয়াই, পোস্ট অফিস স্কিম ইত্যাদিতে আধার তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুসারে এই সকল ক্ষেত্রে যদি কেউ আধার তথ্য না দেন তাহলে তাকে সমস্যায় পড়লেও পড়তে হতে পারে। সুতরাং যদি এই সকল ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সময় যদি কেউ আধার নম্বর না দিয়ে থাকেন তাহলে তিনি সেই আধার নম্বর সংযুক্ত করে দিতে হবে।