নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে দেশের অধিকাংশ মানুষ নিজেদের কষ্টার্জিত টাকা সেভিংস করার জন্য জমা রাখেন ব্যাঙ্ক (Bank), পোস্ট অফিস (Post Office) সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। একসময় বাড়িতে টাকা রাখার প্রবণতা থাকলেও এখন তা আর নেই। মূলত এর ফলে গ্রাহকরা দুইভাবে উপকৃত হয়ে থাকেন। প্রথমত, কষ্টার্জিত টাকা সুরক্ষিত থাকে এবং দ্বিতীয়ত, জমানো টাকায় সুদ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে দেশে যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেই সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে নানান ধরনের আর্থিক গন্ডগোলের ঘটনাও ঘটে থাকে। কিন্তু আর্থিক গন্ডগোলের পরিপ্রেক্ষিতে যাতে গ্রাহকদের ক্ষতির সম্মুখীন না হয় তার জন্য এই সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর কড়া নজরদারি চালানো হয়ে থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) তরফ থেকে। নজরদারির পরিপ্রেক্ষিতে কোন সময় অসঙ্গতি দেখলেই সেই সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর জরিমানা থেকে শুরু করে লাইসেন্স বাতিলের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম না মানার জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্কের মতো ব্যাঙ্ককে জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ঠিক সেই রকমই এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে নিয়ম না মানার কারণে দেশের একটি ব্যাংকের উপর গ্রাহকদের টাকা তোলার ক্ষেত্রে সীমা বেঁধে দেওয়া হল। একই রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কালার মার্চেন্টস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধেও। আমেদাবাদে এই ব্যাংকের উপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে আমেদাবাদের এই ব্যাংকের উপর যে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে একজন গ্রাহক তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বাধিক ৫০ হাজার টাকা তুলতে পারবেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই বিধিনিষেধ ওই ব্যাংকের উপর জারি হয়েছে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে। আগামী ৬ মাস এই বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
কালার মার্চেন্টস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবার পূর্ব অনুমতি ছাড়া আর গ্রাহকদের ঋণ দিতে পারবে না অথবা পুরাতন কোন ঋণ রিনিউ করতে পারবেনা। এছাড়াও এই ব্যাংক এখন নতুন করে আর বিনিয়োগ বা আমানত গ্রহণ করতে পারবে না। তবে এই সকল সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এমন নয় যে এই ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আগামী ৬ মাস পর পুনরায় ব্যাংকের পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং তারপর নতুন সিদ্ধান্ত নেবে।