নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল পরিষেবা ভারতীয় নাগরিকদের কাছে গণপরিবহনের লাইফ লাইন। প্রতিদিন ভারতীয় রেলের (Indian Railways) উপর নির্ভর করে প্রায় এক কোটি মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। বিপুলসংখ্যক মানুষের এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে রেলের তরফ থেকেও সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হয়। আর এবার যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা অত্যন্ত জরুরী। কেননা এবার ট্রেন ছাড়ার সময় অর্থাৎ টাইম টেবিলে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
পূর্ব রেলের (Eastern Railway) নতুন যে সময়সূচী প্রকাশ করা হয়েছে তা রবিবার ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। বেশ কিছু নতুন লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে শহরতলীর মধ্যে এবং কয়েকটি ট্রেনকে নিয়মিত করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি চক্ররেলের কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। বদল আনা হয়েছে দূরপাল্লার ৭০ টি ট্রেনের সময়সূচীতে। দূরপাল্লার যে সকল ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে সেগুলির যাত্রা পথের সময় কমেছে ৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।
ট্রেনের সময়সূচিতে এমন পরিবর্তন আনার কারণ হিসেবে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, বিভিন্ন রুট রয়েছে যেগুলিতে তৃতীয় এবং চতুর্থ লাইন চালু হয়ে যাওয়ার ফলে সেই সকল লাইনের ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এসবের কারণে একাধিক ট্রেনের গতি বৃদ্ধি করে যাত্রাপথের সময় কমানো হয়েছে। শুক্রবার পূর্ব রেলের নতুন এই কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অমর প্রকাশ দ্বিবেদী।
যে সকল দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথের সময় কমেছে সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তিস্তা-তোর্সা, কলকাতা-লালগোলা, হাজারদুয়ারি, কাঞ্চনজঙ্ঘা, কলকাতা-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস। এই সকল ট্রেনের মধ্যে কলকাতার রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রা পথের সময় কমেছে ৭৫ মিনিট। আগে এই ট্রেনটি কলকাতা থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছাড়তো এবং মালদা টাউন পৌঁছাতো ভোর ৩টে ৩৫ মিনিটে। নতুন সূচি অনুযায়ী ট্রেনটি সন্ধ্যা ৭:৫০ মিনিটে কলকাতা থেকে ছাড়বে এবং মালদা টাউন পৌঁছাবে রাত ২:৪০ মিনিটে।
নতুন সূচি অনুযায়ী তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস শিয়ালদহ থেকে দুপুর ২:৪৫ মিনিটের পরিবর্তে ছাড়বে দুপুর তিনটের সময়। ১৫ মিনিট পরে ছাড়লেও নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। এক্ষেত্রে ট্রেনগুলির গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঝে যে সকল স্টেশন রয়েছে সেগুলির সময়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। নতুন এই পরিবর্তন সম্পর্কে না জানলে ট্রেন মিস হয়ে যেতে পারে এবং গন্তব্যে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।