নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) সফলতার পর এক দন্ড থেমে থাকে নি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো (ISRO)। ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে সফলতা আসার পর ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরি কোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় আদিত্য এল১ (Aditya L1)। এটিই ভারতের প্রথম সৌরযান। ভারতের প্রথম এই সৌরযান নিয়ে প্রথম থেকেই মানুষের উৎসাহ চরমে।
আদিত্য এল১ উৎক্ষেপণের পর দেখতে দেখতে এক মাস কেটে গিয়েছে। মাঝে চন্দ্রযান ৩ অনেক বেশি ট্রেন্ডিংয়ে থাকার ফলে আদিত্য এল১ অনেকের মাথা থেকেই বেরিয়ে গিয়েছে। তবে এরই মধ্যে হঠাৎ ইসরো তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আদিত্য এল১ নিয়ে একটি তথ্য পেশ করেছে এবং সেই তথ্য ফের তাকে ট্রেন্ডিংয়ে এসেছে। ট্রেন্ডিংয়ে নিয়ে এসেছে মূলত এক মাসে যে পরিমাণ পথ পাড়ি দিয়েছে এই মহাকাশযান তা রীতিমত কল্পনার বাইরে।
ইসরোর তরফ থেকে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে তথ্য আপলোড করা হয়েছে তা মহাকাশ গবেষণায় ভারতের আরও একটি সুখবর এসেছে। কেননা ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চলছে এবং এই মুহূর্তে আদিত্য এল১ সূর্যের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। শনিবার পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মায়া কাটিয়ে এই মহাকাশযান সফলভাবে সূর্যের দিকে এগিয়ে চলেছে।
গত ৩০ দিনে আদিত্য এল১ ৯.২ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। আদিত্য এল১-কে মোট ১৫ লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। এই বিরাট পথ পাড়ি দিয়ে তাকে পৌঁছে যেতে হবে সূর্যের L1 কক্ষপথে। বিরাট এই পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্র এক মাসের মধ্যেই সে অর্ধেকের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে দিল। এমন সাফল্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি গর্বিত করছে গোটা দেশকে।
Aditya-L1 Mission:
?The spacecraft has travelled beyond a distance of 9.2 lakh kilometres from Earth, successfully escaping the sphere of Earth's influence. It is now navigating its path towards the Sun-Earth Lagrange Point 1 (L1).
?This is the second time in succession that…
— ISRO (@isro) September 30, 2023
ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার আদিত্য এল১ সফলভাবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাটাতে সক্ষম হয়েছে এবং সে এখন এগিয়ে চলেছে সূর্য পৃথিবীর ল্যাগরেজ পয়েন্ট১ (L1)-এর দিকে। সফলভাবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাটিয়ে দূরের পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি হলো দ্বিতীয় মহাকাশযান। এর আগে মঙ্গলযান এই ভাবেই সফলভাবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাটিয়েছিল।