নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে রেশন ব্যবস্থা (Ration) চালু করা হয়েছে মূলত যাতে খাদ্য সামগ্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সস্তায় পাওয়া যায়। সরকারের তরফ থেকে এই ব্যবস্থা মূলত নাগরিকদের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর জন্য চালু করা হয়েছে। এমনকি দেশের করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর যখন লকডাউন জারি করা হয় তখন থেকে এখনো পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশনে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।
২০২০ সাল থেকে রেশনে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ফলে দেশের আপামর বাসিন্দারা উপকৃত। তবে সামনেই যখন দুর্গাপুজো তখন কেন্দ্রের তরফ থেকে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার ফলে রীতিমতো গ্রাহকদের মাথায় হাত পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে সেই সকল গ্রাহকরা কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে সবচেয়ে বেশি অসুবিধার মধ্যে পড়বেন তারা হলেন দুঃস্থ দরিদ্র গ্রাহকেরা।
মূলত কেন্দ্রের তরফ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবারও বাড়ানো হয়েছে রেশনে পাওয়া কেরোসিনের (Kerosen) দাম। অক্টোবর মাসের শুরুতেই কেরোসিনের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এবং নির্ধারণ করা দাম অনুযায়ী গত মাসের তুলনায় লিটারে দাম বেড়েছে ৪ টাকা। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও দফায় দফায় বেড়েছে কেরোসিনের দাম। গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তার রীতিমতো হিমশিম করে তুলছে সাধারণ মানুষদের।
ভারতের একেবারেই নিম্নবিত্ত পরিবারের অনেকেই রয়েছেন যারা এখনো পর্যন্ত কেরোসিন ব্যবহার করে থাকেন বিভিন্ন কারণে। এখনো অনেক পরিবার রয়েছে যাদের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার কেনার মত ক্ষমতা নেই, এখনো অনেক পরিবার রয়েছে যাদের বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই তাদের অনেকেই কেরোসিনে কাজ চালান। এক্ষেত্রে এই সকল মানুষগুলির কাছে কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি পাওয়া গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত জুন মাস থেকে হিসাব করলে লক্ষ্য করা যাবে কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি দফায় দফায় বৃদ্ধি পেতে পেতে এখন ২১ টাকা বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির পর এখন কেরোসিনের দাম দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ৮০ টাকা। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি সুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে কেরোসিনের ব্যবহারও অনেক কমে গিয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও যারা এখনো কেরোসিন ব্যবহার করছেন তাদের কাছে এই মূল্যবৃদ্ধি কঠিন হয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।