মঙ্গল গ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওটা-কী! নাসা দেখালো অন্য এক দানবকে

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে যেমন সম্প্রতি চাঁদে পাঠানো হয়েছিল চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3), ঠিক সেই রকমই নাসার (NASA) পার্সিভ্যারেন্স রোভার এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে মঙ্গল গ্রহের (Mars) মাটিতে। মঙ্গল গ্রহের মাটি থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য এই মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে এবং সেটি সফলভাবে কাজ করছে। মঙ্গল গ্রহে প্রাণ এবং জলের খোঁজের জন্য নাসা যেভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে তারই অঙ্গ হলো এই পার্সিভ্যারেন্স রোভার।

Advertisements

মঙ্গল গ্রহে পাঠানো নাসার পার্সিভ্যারেন্স রোভার ইতিমধ্যেই ৯০০ দিনের বেশি ধরে কাজ করছে। ছয় পা বিশিষ্ট এই রোভার মঙ্গল গ্রহের মাটিতে কাজ করার সময় তার গায়ে লাগানো থাকা ন্যাভ ক্যামেরাগুলি মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন ছবি তুলে পাঠাচ্ছে পৃথিবীতে। ঠিক সেই রকমই গত ৩০ আগস্ট তাদের ক্যামেরায় এমন এক দৃশ্য ধরা পড়ে যার রীতিমতো জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের চক্ষু ছানাবড়া করে দিয়েছে। সেই দৃশ্য পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়।

Advertisements

গত ৩০ আগস্ট পার্সিভ্যারেন্সের ক্যামেরায় যে দৃশ্য ধরা পড়েছে তা এক অন্য দানব। শয়তানের মত সে মঙ্গলের মাটিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ধুলো উড়িয়ে রীতিমত তাণ্ডব চালাতে দেখা গিয়েছে ওই দানবকে। আর এর পর থেকেই ওই দানবের অসীম শক্তির উৎস কোথায় তা খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীতে যেমন টর্নেডো তান্ডব সৃষ্টি করে ঠিক সেই রকমই লাল গ্রহের দানব টর্নেডোর দৃশ্য ধরা পড়েছে। পৃথিবীতে এমন দানব টর্নেডো তৈরির অনেক সম্ভাবনা এবং শক্তির উৎস থাকলেও মঙ্গল গ্রহে সেগুলি কিভাবে এবং কোথায় থেকে আসছে তাই এখন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্যের অন্য কারণ।

Advertisements

মঙ্গল গ্রহে যে টর্নেডোর খোঁজ মিলেছে সেই টর্নেডোকে নাসার তরফ থেকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্যাটানিক স্টর্ম’ বা ‘শয়তানের ঝড়’। মার্কিন গবেষকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই সময় প্রবল ঘূর্ণির মধ্যে ডাস্ট ডেভিল বা শয়তানি ধুলো উড়ছিল। এমন একটি টর্নেডোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার পাশাপাশি না আসার তরফ থেকে তা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেশ করা হয়েছে।

নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, মঙ্গল গ্রহে যে দানব টর্নেডোর দেখা মিলেছিল তার উচ্চতা ১.২ মাইল অর্থাৎ দু’কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল। এর উৎপত্তিস্থল হল মঙ্গলের জেজেরো ক্রেটারের (একটি বিশাল গর্তের নাম) পশ্চিমে ‘থোরোফেয়ার রিজ’ নামের একটি জায়গা। এই জায়গা থেকে এই টর্নেডো উৎপত্তি হওয়ার পর পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ঘন্টায় ১৯ কিলোমিটার গতি বেগে এগিয়ে যায়। যদিও এই ধরনের টর্নেডোকে মঙ্গল গ্রহে নতুন কিছু নয় বলে দাবি করা হচ্ছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে এবং তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মূলত গ্রীষ্ম এবং বসন্তকালে এই ধরনের টর্নেডোর দেখা পাওয়া যায়।

Advertisements