চন্দ্রযান-৩ অতীত, এবার আসছে মঙ্গলযান-২, নতুন কারনামা দেখাবে ইসরো

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো (ISRO) ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটিতে দেখিয়ে দিয়েছে নিজেদের কারনামা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কারনামা দেখিয়ে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) ভারতের নাম বিশ্বের দরবারে স্বর্ণাক্ষরে লিখে দিয়েছে। এর পাশাপাশি চাঁদের দক্ষিণ ভারতে এমন সব কারনামা দেখিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) ও রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan), যা আগামী দিনে ইসরোকে আরও নতুন নতুন গবেষণায় নামতে সাহায্য করবে।

ইসরো এবং ভারতের আপামর বাসিন্দারা যখন চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্য নিয়ে গর্বিত ঠিক সেই সময় আরও একাধিক মিশনে নামতে শুরু করেছে ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই সূর্য সম্পর্কে নানান তথ্য গ্রহণ করতে পাঠানো হয়েছে আদিত্য এল১ (Aditya L1), যে মহাকাশযান সঠিকভাবেই নিজের গন্তব্যে এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে এবার সামনে এলো ইসরোর নতুন মিশনের পরিকল্পনা আর তা হল মঙ্গল গ্রহ (Mars)। ইসরো এবার মঙ্গলে পাঠাবে মঙ্গলযান ২ (mangalyaan 2)।

প্রায় ৯ বছর পর ইসরো মঙ্গলে আবার তাদের মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে। এমন অভিযানের পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে এবং সেই সকল কারণের পরিপ্রেক্ষিতেই এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্স অরবিটর মিশন ২’। এই মিশনে মঙ্গলযানের সঙ্গে পাঠানো হবে মোট চারটি পেলোড। এই চারটি পেলোড মঙ্গলের মাটিতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে। ঠিক কি কি পরীক্ষা চালাবে মঙ্গলযান ২?

সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসরোর নতুন মিশন মঙ্গলযান ২ মূলত মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া, মাটির ধুলো সহ অন্যান্য বেশ কিছু বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। সেখান থেকে সংগ্রহ করা তথ্য তারা পৃথিবীতে পাঠাবে। মঙ্গলযান ২ এর প্রথম পেলোডটি বুঝতে চেষ্টা করবে, মঙ্গলের মাটি থেকে নির্দিষ্ট উচ্চতায় ধুলোর উৎপত্তি, ঘনত্ব এবং গতিবিধি। দ্বিতীয় পেলোড অর্থাৎ রেডিও অকালটেশন বোঝার চেষ্টা করা হবে বায়ুমন্ডলে ইলেকট্রন ও নিউট্রনের পরিমাণ, বায়ুমণ্ডলের সার্বিক চরিত্র।

মঙ্গলযান ২ এর তৃতীয় পেলোড যার নাম দেওয়া হয়েছে এনার্জেটিক আয়ন স্পেক্টোমিটার কাজ করবে মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে সৌরশক্তি কণা এবং সুপার থার্মাল সৌর বায়ু কণা চিহ্নিত করার জন্য। চতুর্থ পেলোড অর্থাৎ ল্যাংমিওর প্রোব অ্যান্ড ইলেকট্রিক ফিল্ড এক্সপেরিমেন্ট পর্যবেক্ষণ করবে মঙ্গল গ্রহে বায়ুমন্ডলে প্লাজমার পরিবেশ। এই সকল লক্ষ্য নিয়ে যে মিশনে নামতে চলেছে তারা সফল হলে ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের হাতে যে সকল তথ্য আসবে তা আগামী দিনে অনেক কাজে লাগবে মহাকাশ গবেষণায়।